আগুনের কালো ধোঁয়ায় মানুষ মারা যায় কেন ?

0
42
আগুনের কালো ধোঁয়ায় মানুষ মারা যায়
আগুনের কালো ধোঁয়ায় মানুষ মারা যায়
Advertisement
Google search engine
আগুনের কালো ধোঁয়ায় মানুষ মারা যায়
আগুনের কালো ধোঁয়ায় মানুষ মারা যায়

আগুনের কালো ধোঁয়ায় মানুষের মৃত্যুর কারণ

আগুন লাগার ঘটনায় মানুষ পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কালো ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টেও অনেকের মৃত্যু ঘটে। আগুনের ধোঁয়া বিভিন্ন বিষাক্ত গ্যাস এবং কণার সমন্বয়ে গঠিত, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

কালো ধোঁয়ায় মৃত্যুর কারণ:

১. কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া: আগুনের ধোঁয়ায় কার্বন মনোক্সাইড (CO) প্রচুর পরিমাণে থাকে। CO হিমোগ্লোবিনের সাথে অক্সিজেনের চেয়ে 200 গুণ বেশি সহজে বিক্রিয়া করে, ফলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। অক্সিজেনের অভাবে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মৃত্যুও ঘটতে পারে।

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া একটি বিপজ্জনক অবস্থা যা ঘটে যখন শরীর খুব বেশি কার্বন মনোক্সাইড শ্বাস গ্রহণ করে। কার্বন মনোক্সাইড একটি গন্ধহীন, রঙহীন গ্যাস যা জ্বালানি অসম্পূর্ণভাবে পোড়ার ফলে তৈরি হয়। গাড়ির নিষ্কাশন, জেনারেটর, গ্রিল এবং স্টোভ সহ বিভিন্ন উত্স থেকে এটি আসতে পারে।

কার্বন মনোক্সাইড রক্তে হিমোগ্লোবিনের সাথে বেঁধে যায়, যা শরীরের কোষগুলিতে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতাকে বাধা দেয়। এর ফলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • মাথাব্যথা
  • মাথা ঘোরা
  • বমি বমি ভাব
  • বমি
  • বুকে ব্যথা
  • বিভ্রান্তি
  • চেতনা হারানো

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া মারাত্মক হতে পারে, বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং হৃদরোগ বা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য।

আপনি যদি কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাজা বাতাসে যান এবং ৯১১ নম্বরে কল করুন।

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া প্রতিরোধ করতে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিন:

  • আপনার গাড়ির নিষ্কাশন সিস্টেমটি নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করুন।
  • জেনারেটর, গ্রিল এবং স্টোভগুলি বাইরে বা ভালভাবে বায়ুচলাচল এলাকায় ব্যবহার করুন।
  • কার্বন মনোক্সাইড ডিটেক্টর আপনার বাড়িতে ইনস্টল করুন।

কার্বন মনোক্সাইড ডিটেক্টর

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা প্রতিরোধযোগ্য। সচেতন থাকা এবং সতর্কতা অবলম্বন করে, আপনি নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারেন।

২. শ্বাসনালীর জ্বালা ও ক্ষতি:

শ্বাসনালী হল আপনার ফুসফুসের দিকে বাতাস বহন করে এমন নলী। এটি শ্লেষ্মা এবং সিলিয়া দ্বারা সুরক্ষিত যা ধুলো এবং ময়লা ফাঁদে ফেলে। যখন আপনার শ্বাসনালীতে জ্বালা হয়, তখন এটি শ্বাসনালী বলা হয়।

শ্বাসনালীর জ্বালা বিভিন্ন জিনিসের কারণে হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ভাইরাস, যেমন সাধারণ ঠান্ডা বা ফ্লু।
  • ব্যাকটেরিয়া
  • অ্যালার্জেন, যেমন পরাগ, ধুলো বা পোষা প্রাণীর পশম।
  • ধূমপান
  • ক্ষতিকর ধোঁয়া এবং রাসায়নিক
  • শুষ্ক বাতাস
  • ঠান্ডা বাতাস
  • ব্যায়াম

শ্বাসনালীর জ্বালা লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কাশি
  • বুকে ব্যথা
  • শ্বাসকষ্ট
  • ঘন ঘন শ্বাস
  • স্বাস-প্রশ্বাসে বাঁশি বাজানো
  • কণ্ঠস্বর ভাঙা

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, শ্বাসনালীর জ্বালা নিজেরাই চলে যাবে। যাইহোক, আপনার যদি তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণ থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।

শ্বাসনালীর জ্বালা চিকিত্সার মধ্যে রয়েছে:

  • ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ, যেমন আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসিটামিনোফেন
  • প্রেসক্রিপশন ওষুধ, যেমন ইনহেলার বা স্টেরয়েড
  • তরল
  • বিশ্রাম
  • আর্দ্রতা

আপনার শ্বাসনালীর জ্বালা প্রতিরোধ করতে আপনি কিছু জিনিস করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে:

  • আপনার হাত নিয়মিত ধোয়া
  • অসুস্থ ব্যক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো
  • ধূমপান ত্যাগ করা
  • অ্যালার্জেন এড়ানো
  • শুষ্ক বাতাসে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা
  • ঠান্ডা বাতাসে বাইরে যাওয়ার সময় আপনার মুখ এবং নাক ঢেকে রাখা
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা

 ধোঁয়ায় থাকা বিষাক্ত কণা এবং গ্যাস শ্বাসনালীতে জ্বালা ও ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, কাশি, এবং শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে।

৩. ফুসফুসের ক্ষতি: ধোঁয়ায় থাকা কণা ফুসফুসে প্রবেশ করে

ফুসফুসের ক্ষতি

ফুসফুস হল এমন অঙ্গ যা আমাদের শ্বাস নিতে দেয়। তারা বুকে অবস্থিত এবং তারা অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ বাতাসকে বহিষ্কার করে। ফুসফুসের অনেকগুলি অংশ রয়েছে যা তাদের সঠিকভাবে কাজ করার অনুমতি দেয়।

  • বায়ুপথ শ্বাসনালী এবং শ্বাসনালী সহ নলগুলি যা ফুসফুসে বাতাস বহন করে।
  • অ্যালভিওলি ছোট বায়ু ব্যাগ যেখানে গ্যাস বিনিময় ঘটে।
  • ফুসফুসের টিস্যু রক্তনালী এবং অন্যান্য সংযোগকারী টিস্যু সহ অ্যালভিওলি ঘিরে থাকে।
  • প্লুরা ফুসফুসকে ঢেকে দেওয়া দুটি পাতলা ঝিল্লি।

ফুসফুসের ক্ষতি বিভিন্ন জিনিসের কারণে হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • সংক্রমণ নিউমোনিয়া এবং ব্রংকাইটিসের মতো।
  • ধূমপান ধূমপান ফুসফুসের ক্ষতির প্রধান কারণ।
  • বায়ু দূষণ ধোঁয়া, ধুলো এবং রাসায়নিক সহ বায়ুতে ক্ষতিকর পদার্থের সংস্পর্শে আসা ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে।
  • ব্যায়ামের অভাব নিয়মিত ব্যায়াম ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • অন্যান্য চিকিৎসা শর্ত যেমন সিস্টিক ফাইব্রোসিস এবং ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD)।

ফুসফুসের ক্ষতির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • শ্বাসকষ্ট
  • কাশি
  • বুকে ব্যথা
  • শ্বাস নিতে বাধা
  • খাওয়ার সময় ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট
  • নীলচে ত্বক

আপনি যদি ফুসফুসের ক্ষতির কোনো উপসর্গ অনুভব করেন তবে আপনার একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। ফুসফুসের ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করতে এবং চিকিত্সার পরিকল্পনা করতে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। ফুসফুসের ক্ষতির চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণের চিকিৎসা করতে।
  • ব্রঙ্কোডায়লেটর শ্বাসনালী খুলতে এবং শ্বাস নেওয়া সহজ করতে।
  • স্টেরয়েড প্রদাহ কমাতে।
  • অক্সিজেন থেরাপি ফুসফুসে অক্সিজেনের স্তর বাড়াতে।
  • ফুসফুসের প্রতিস্থাপন গুরুতর ক্ষেত্রে।

ফুসফুসের ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। ফুসফুসের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে আপনি যে জিনিসগুলি করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে:

  • ধূমপান ত্যাগ
  • বায়ু দূষণ এড়িয়ে চলুন
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন

৪. অ্যাসিডিক ধোঁয়া: আগুন লাগা জিনিসের উপর নির্ভর করে ধোঁয়া অ্যাসিডিক হতে পারে। অ্যাসিডিক ধোঁয়া শ্বাসনালী ও ফুসফুসে জ্বালা ও ক্ষতি করতে পারে।

অ্যাসিডিক ধোঁয়া হল এক ধরনের বায়ু দূষণ যা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কারখানা এবং গাড়ির মতো উত্স থেকে নির্গত হয়। এই উত্সগুলি বায়ুতে সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড যেমন রাসায়নিক নির্গত করে। এই রাসায়নিকগুলি বায়ুতে জলের সাথে বিক্রিয়া করে অ্যাসিড তৈরি করে, যা বৃষ্টি, তুষার বা কুয়াশার মাধ্যমে মাটিতে ফিরে আসে।

অ্যাসিডিক ধোঁয়া পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি বন, হ্রদ এবং জলপ্রপাতের ক্ষতি করতে পারে। এটি ভবন এবং পরিকাঠামোকেও ক্ষতি করতে পারে। অ্যাসিডিক বৃষ্টি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য।

অ্যাসিডিক ধোঁয়ার প্রভাবগুলি হ্রাস করার জন্য বেশ কয়েকটি জিনিস করা যেতে পারে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং কারখানাগুলি থেকে নির্গত রাসায়নিকের পরিমাণ কমাতে সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রণয়ন করতে পারে। গাড়ি চালানো এবং বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে ব্যক্তিরাও অ্যাসিডিক ধোঁয়ায় অবদান রাখতে পারে।

অ্যাসিডিক ধোঁয়ার প্রভাবগুলির কিছু উদাহরণ এখানে রয়েছে:

  • বনগুলিতে ক্ষতি:

    অ্যাসিডিক বৃষ্টি মাটিতে অ্যাসিড যোগ করে, যা গাছের জন্য পুষ্টি শোষণ করা কঠিন করে তোলে। এটি পাতা বাদামী এবং পড়ে যেতে পারে, এবং গাছের বৃদ্ধি এবং প্রজননকে ধীর করে দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, অ্যাসিডিক বৃষ্টি গাছকে মেরে ফেলতে পারে।

  • হ্রদে ক্ষতি: অ্যাসিডিক বৃষ্টি হ্রদের জলে অ্যাসিড যোগ করে, যা হ্রদের pH কমিয়ে দেয়। এটি মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, অ্যাসিডিক বৃষ্টি হ্রদকে এতটাই অ্যাসিডিক করে তুলতে পারে যে কোনও জীবন্ত প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না।
  • জলপ্রপাতের ক্ষতি: অ্যাসিডিক বৃষ্টি চুনাপাথর এবং অন্যান্য শিলাগুলিকে ক্ষয় করতে পারে যা জলপ্রপাত তৈরি করে। এটি জলপ্রপাতের আকার এবং আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে এবং এমনকি সেগুলিকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলতে পারে।
  • ভবন এবং পরিকাঠামোতে ক্ষতি: অ্যাসিডিক বৃষ্টি ভবন, সেতু এবং রাস্তার মতো ভবন এবং পরিকাঠামোকে ক্ষয় করতে পারে। এটি সম্পত্তির ক্ষতি এবং মেরামতের জন্য উচ্চ খরচ হতে পারে।

৫. আতঙ্ক হুড়োহুড়ি:

আতঙ্ক ও হুড়োহুড়ি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দেখা দিতে পারে, যেমন:

প্রাকৃতিক দুর্যোগ: ভূমিকম্প, বন্যা, টর্নেডো, ঝড়, সুনামি ইত্যাদি। দুর্ঘটনা: গাড়ি দুর্ঘটনা, বিমান দুর্ঘটনা, ট্রেন দুর্ঘটনা, জাহাজ দুর্ঘটনা, ভবন ভেঙে পড়া ইত্যাদি। সন্ত্রাসবাদী হামলা: বোমা হামলা, গুলিবর্ষণ, জিম্মি বন্দি, হাইজ্যাকিং ইত্যাদি। অন্যান্য: অগ্নিকাণ্ড, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গুজব ছড়ানো, ভয়ঙ্কর খবর শোনা ইত্যাদি।

আতঙ্ক ও হুড়োহুড়ির প্রভাব:

  • মানসিক প্রভাব: ভয়, উদ্বেগ, হতাশা, ট্রমা, ঘুমের সমস্যা, মনোযোগের অভাব ইত্যাদি।
  • শারীরিক প্রভাব: হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
  • সামাজিক প্রভাব: পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্কের অবনতি, কাজ বা পড়াশোনায় মনোযোগ না দেওয়া, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্নতা ইত্যাদি।

Matrimony

আতঙ্ক ও হুড়োহুড়ি নিয়ন্ত্রণের উপায়:

  • শান্ত থাকার চেষ্টা: গভীর শ্বাস নেওয়া, ধ্যান করা, ইতিবাচক চিন্তা করা ইত্যাদি।
  • পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ: বিশ্বস্ত উৎস থেকে খবর সংগ্রহ করা, গুজব এড়িয়ে চলা।
  • প্রয়োজনে সাহায্য চাওয়া: পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী, বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া।
  • নিজের যত্ন নেওয়া: পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, মনোরঞ্জন ইত্যাদি।

কিছু টিপস:

  • আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে একটি জরুরী পরিকল্পনা তৈরি করুন।
  • আপনার বাড়িতে একটি জরুরী কিট রাখুন।
  • আপনার এলাকার জরুরী প্রস্থানের পথগুলি সম্পর্কে জানুন।
  • স্থানীয় কর্তৃপক্ষের জরুরী নির্দেশাবলী সম্পর্কে অবগত থাকুন।
  • আপনার যদি মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা থাকে, তাহলে সাহায্যের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।

মনে রাখবেন: আতঙ্ক ও হুড়োহুড়ি একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। উপরের টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি নিজেকে এবং আপনার প্রিয়জনদেরকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

আগুনের ভয়াবহতা ও ধোঁয়ায় ঝাপসা দৃষ্টির কারণে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে তারা ধাক্কাধাক্কি করে পড়ে গিয়ে আহত হতে পারে, অথবা ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে মারা যেতে পারে।

কিভাবে ধোঁয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো যায়

ধোঁয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর উপায়:

প্রতিরোধ:

  • আগুন লাগা রোধে সতর্ক থাকুন:
    • সাবধানে রান্না করুন এবং জ্বলন্ত জিনিসের দিকে নজর রাখুন।
    • ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
    • ধূমপান ত্যাগ করুন এবং দাহ্য পদার্থ সাবধানে সংরক্ষণ করুন।
  • ধোঁয়া সনাক্তকারী এবং অ্যালার্ম ইনস্টল করুন:
    • এটি আপনাকে দ্রুত আগুন সম্পর্কে সতর্ক করবে এবং আপনাকে নিরাপদে বের হতে সাহায্য করবে।
  • নিয়মিতভাবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পরীক্ষা করুন:
    • জরুরী অবস্থায় এটি ব্যবহার করতে জানুন।

আগুন লাগলে:

  • দ্রুত স্থান ত্যাগ করুন:
    • ধোঁয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই দ্রুত বের হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • নিচের দিকে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যান:
    • ধোঁয়া উপরে উঠে, তাই নিচের দিকে থাকলে আপনি কম ধোঁয়া শ্বাস নেবেন।
  • ভেজা কাপড় দিয়ে মুখ নাক ঢেকে রাখুন:
    • এটি ধোঁয়া থেকে কিছুটা সুরক্ষা দেবে।
  • জানালা বা দরজার ফাঁক দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করুন:
    • যদি সম্ভব হয়, দরজা বা জানালা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করুন।
  • ধোঁয়ায় আটকা পড়লে:
    • শান্ত থাকুন এবং উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করুন।
    • দরজার ফাঁক দিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করুন।
    • যদি সম্ভব হয়, জানালা ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করুন।

অন্যান্য:

  • ধূমপান ত্যাগ করুন:
    • ধূমপান ফুসফুসের ক্ষতি করে এবং ধোঁয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
    • এটি আপনার ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান:
  • এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

ধোঁয়া বিষাক্ত এবং মারাত্মক হতে পারে। সচেতন থাকা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আপনি ধোঁয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক কমাতে পারেন।

আগুন লাগলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করুন।

  • ধোঁয়ায় ঝাপসা দৃষ্টি হলে ভেজা কাপড় দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন।
  • যতটা সম্ভব নিচের দিকে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যান কারণ ধোঁয়া উপরে উঠে।
  • জানালা বা দরজার ফাঁক দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করুন।
  • যদি ধোঁয়ায় আটকা পড়েন, শান্ত থাকুন এবং উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করুন।
  • আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণ নিন এবং আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জানুন।

উপসংহার:

আগুনের কালো ধোঁয়া মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে। ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে অনেকের মৃত্যু ঘটে। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ধোঁয়ায়

আগুনের কালো ধোঁয়ায় মানুষ মারা যায়

Matrimony

Bangladeshi Bride Groom

Bangladeshi Christian Bride Groom

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন গুলশান মিডিয়ার সাথে। ” কল করুন: 01779940833/ 01572106528

Email : gulshanmedia2@gmail.com

Sonali Islam

Advertisement
Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here