কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে। শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারন কি ?
শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য কি খাবেন এবং অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ
ভূমিকা
গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখা সবার জন্যই একটি চ্যালেঞ্জ। অতিরিক্ত গরম লাগলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য কিছু বিশেষ খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করা জরুরি। এই আর্টিকেলে আমরা শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য কোন খাবার খাওয়া উচিত এবং অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য কি খাবেন
শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য নিম্নলিখিত খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে:
- ফল: তরমুজ, শসা, কাঁঠাল, আমলকি, পেঁপে, জাম্বুরা ইত্যাদি ফল শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এই ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং মুক্ত র্যাডিকেলের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
- সবজি: লাউ, শিম, বেগুন, করলা, পুদিনা ইত্যাদি সবজি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এই সবজিগুলোতে ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে যা শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
- দুগ্ধজাত পণ্য: দই, ছানা ইত্যাদি দুগ্ধজাত পণ্য শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- পানীয়: লেবুর শরবত, নারকেল পানি, জাম্বুরা জুস, পুদিনার পানি ইত্যাদি পানীয় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এই পানীয়গুলোতে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
- মসলা: পুদিনা, জিরা, ধনে, হলুদ ইত্যাদি মসলা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এই মসলাগুলোতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ থাকে যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ
অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ হিসেবে নিম্নলিখিতগুলো উল্লেখ করা যেতে পারে:
- মৌসুমি পরিবর্তন: গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে শরীর অতিরিক্ত গরম অনুভব করে।
- দেহাবরণ: ঘাম ছাড়া শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়।
- শারীরিক পরিশ্রম: অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
- অসুস্থতা: জ্বর, সংক্রমণ ইত্যাদি অসুস্থতার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
- ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- হরমোনজনিত সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, মেনোপজ ইত্যাদি হরমোনজনিত সমস্যার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
অতিরিক্ত গরম লাগলে কি করবেন
অতিরিক্ত গরম লাগলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে:
- ঠান্ডা পানি পান করুন: প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা পানি পান করুন।
- হালকা পোশাক পরুন: কটন বা লিনেনের মতো হালকা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য পোশাক পরুন।
- ঠান্ডা জায়গায় থাকুন: এয়ার কন্ডিশনার বা ফ্যান চালিয়ে ঠান্ডা জায়গায় থাকুন।
- ঠান্ডা স্নান করুন: ঠান্ডা স্নান করলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়।
- শারীরিক পরিশ্রম কমান: অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, সবজি এবং পানি বেশি করে খান।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি অতিরিক্ত গরম লাগার সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- অতিরিক্ত গরম লাগার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:
- আবহাওয়া: গরমের মাসগুলোতে বা উচ্চ তাপমাত্রার অঞ্চলে বসবাস করলে অতিরিক্ত গরম লাগা স্বাভাবিক।
- শারীরিক পরিশ্রম: অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
- দেহাবরণ: ঘাম ছাড়া শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়।
- অসুস্থতা: জ্বর, সংক্রমণ ইত্যাদি অসুস্থতার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
- ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- হরমোনজনিত সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, মেনোপজ ইত্যাদি হরমোনজনিত সমস্যার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন থাকলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়।
- পরিবেশ দূষণ: বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ ইত্যাদি পরিবেশ দূষণের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
-
অতিরিক্ত গরম লাগার লক্ষণ:
- প্রচুর ঘামা
- মাথাব্যথা
- চক্কর খাওয়া
- বমি ভাব
- দুর্বলতা
- শ্বাসকষ্ট
- মূর্ছা যাওয়া
-
অতিরিক্ত গরম লাগলে কি করবেন:
- ঠান্ডা পানি পান করুন।
- ঠান্ডা জায়গায় বিশ্রাম নিন।
- হালকা পোশাক পরুন।
- ঠান্ডা স্নান করুন।
- শারীরিক পরিশ্রম কমান।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
-
রোধ করার উপায়:
- গরমের মাসে সকাল বা সন্ধ্যায় বাইরে বের হওয়া উচিত।
- হালকা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য পোশাক পরুন।
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য ঠান্ডা পানি স্প্রে করতে পারেন।
- ঠান্ডা খাবার খান।
-
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:
- যদি অতিরিক্ত গরম লাগার সাথে জ্বর, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
- যদি ঠান্ডা পানি পান করার পরেও তৃষ্ণা না মিটে।
- যদি মাথা ঘুরতে থাকে বা মূর্ছা যাওয়ার উপসর্গ দেখা দেয়।
- যদি শ্বাসকষ্ট হয়।
- বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যে। কোনো রোগ বা অসুখের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
- আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে।
উপসংহার
শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা জরুরি। অতিরিক্ত গরম লাগলে উপরোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আপনি নিজেকে আরামদায়ক রাখতে পারবেন। তবে, যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বিভিন্ন ধরনের খাবারের রেসিপি
বিভিন্ন ধরনের খাবারের রেসিপি: আপনার রান্নাঘরের জন্য এক নতুন স্বাদ!
আপনি কি নতুন কোনো খাবার বানাতে চান? নাকি প্রিয় খাবারটিকে একটু অন্যভাবে তৈরি করে দেখতে চান? চিন্তা করবেন না, এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবারের রেসিপি শিখব, যা আপনার রান্নাঘরে নতুন এক মাত্রা যোগ করবে।
ভাতের সাথে কি খাবেন ?
ভাত আমাদের প্রধান খাবার। ভাতের সাথে কি খাবেন, এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই জাগে। আসুন, কয়েকটি ভিন্ন ধরনের তরকারির রেসিপি দেখে নেওয়া যাক:
- আলুর দম: আলু, পেঁয়াজ, টম্যাটো, মশলা দিয়ে তৈরি এই তরকারি ভাতের সাথে খুবই ভালো লাগে।
- শুকতো: বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি এই তরকারি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
- মুড়োর কোরমা: মুড়োকে দুধ ও মশলা দিয়ে রান্না করে এই কোরমা তৈরি করা হয়।
- ফুলকপির ভাজি: ফুলকপিকে বেটারে ডুবিয়ে ভাজা হলে এর স্বাদ আরও বেড়ে যায়।
মাছ-মাংসের রেসিপি
মাছ-মাংস আমাদের প্রোটিনের প্রধান উৎস। আসুন, কিছু সুস্বাদু মাছ-মাংসের রেসিপি দেখে নেওয়া যাক:
- মাছের কড়াই: মাছকে মশলা দিয়ে কড়াইয়ে ভাজা হলে এর স্বাদ অনন্য হয়ে ওঠে।
- মুরগির রোস্ট: মুরগিকে মশলা দিয়ে রোস্ট করা হলে এর স্বাদ আরও বেড়ে যায়।
- মাটনের কাসা: মাটনকে মশলা দিয়ে কাসা করে রান্না করলে এর স্বাদ অনন্য হয়ে ওঠে।
স্ন্যাকস ও ডেজার্ট
দিনের মধ্যে ক্ষুধা পেলে স্ন্যাকস খাওয়া যেতে পারে। আবার মিষ্টি খেতে চাইলে ডেজার্ট খাওয়া যেতে পারে। আসুন, কিছু স্ন্যাকস ও ডেজার্টের রেসিপি দেখে নেওয়া যাক:
- সমুসা: আলু, পেঁয়াজ, মশলা দিয়ে তৈরি এই স্ন্যাকস খুবই জনপ্রিয়।
- পিজ্জা: বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি পিজ্জা সবার প্রিয়।
- চিজ কেক: চিজ দিয়ে তৈরি এই ডেজার্ট খুবই সুস্বাদু।
- গুলাবজামুন: দুধ ও ময়দা দিয়ে তৈরি এই ডেজার্ট খুবই জনপ্রিয়।
ভেজান খাবার
শাক-সবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আসুন, কিছু ভেজান খাবারের রেসিপি দেখে নেওয়া যাক:
- সবজি স্যুপ: বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ শীতকালে খুবই ভালো লাগে।
- সালাদ: বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- স্মুজি: ফল দিয়ে তৈরি স্মুজি খুবই পুষ্টিকর।
রান্না করার টিপস
- সবজি কাটার সময়: সবজি কাটার সময় একই দিকে কাটুন। এতে সবজির পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে না।
- তেল গরম করে: তেল ভালো করে গরম করে তারপর সবজি দিন।
- মশলা দিন: মশলা দিয়ে রান্না করলে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়।
- নিয়মিত নাড়ুন: রান্না করার সময় নিয়মিত নাড়ুন। এতে খাবার লেগে যাবে না।
- সময়মতো নামান: খাবার সিদ্ধ হয়ে গেলে তা সময়মতো নামিয়ে নিন।
আপনি কোন ধরনের খাবারের রেসিপি খুঁজছেন? আমাকে জানালে আমি আপনাকে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারব।
আপনি কি কোন নির্দিষ্ট উপকরণ দিয়ে রান্না করতে চান? আমি আপনার জন্য উপযুক্ত রেসিপি খুঁজে দিতে পারব।
আপনি কি কোন বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য রান্না করছেন? আমি আপনার জন্য উপযুক্ত মেনু তৈরি করে দিতে পারব।
আপনি কি কোন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেতে চান? আমি আপনার জন্য উপযুক্ত রেসিপি খুঁজে দিতে পারব।
আপনি যদি রান্নার নতুন নতুন রেসিপি শিখতে চান, তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন।
আপনার রান্নাঘরে নতুন এক মাত্রা যোগ করতে আমি সবসময় প্রস্তুত।
ধন্যবাদ!
গরমের দিনে ব্যায়াম করার উপায়
গরমের দিনে ব্যায়াম করার উপায়: শরীরকে সতেজ রাখুন
গরমের দিনে শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি ব্যায়াম করাও খুবই জরুরি। কিন্তু এই তাপদাহে কীভাবে ব্যায়াম করবেন, তা অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে। আসুন জেনে নিই কয়েকটি উপায়:
ব্যায়ামের জন্য উপযুক্ত সময়:
- সকাল: সূর্যোদয়ের আগে বা পরে ব্যায়াম করলে শরীরকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- সন্ধ্যা: সূর্যাস্তের পর ব্যায়াম করলেও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
কোথায় ব্যায়াম করবেন:
- ছায়াঘেরা জায়গা: পার্ক, বাগান বা ছায়াঘেরা কোনো জায়গায় ব্যায়াম করুন।
- ঘরের ভিতরে: এয়ার কন্ডিশনার চালিয়ে ঘরের ভিতরেও ব্যায়াম করতে পারেন।
- সাঁতার: সাঁতার কাটতে পারলে একই সাথে ব্যায়ামও হবে, আবার শরীরও খুব বেশি গরম হবে না।
কী ধরনের ব্যায়াম করবেন:
- হালকা ব্যায়াম: শুরুতে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন। যেমন: জগিং, সাইক্লিং, যোগাসান ইত্যাদি।
- পানি খেলা: সাঁতার, ওয়াটার এয়ারোবিকস ইত্যাদি পানি খেলা করতে পারেন।
- ঘরের ভিতরে ব্যায়াম: পুশ-আপ, সিট-আপ, স্কোয়াট ইত্যাদি ঘরের ভিতরেই করতে পারেন।
ব্যায়ামের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন:
- পানি পান করুন: ব্যায়ামের আগে, মাঝে এবং পরে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- হালকা পোশাক: কটন বা লিনেনের মতো হালকা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য পোশাক পরুন।
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: যদি বাইরে ব্যায়াম করেন, তাহলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- বিরতি নিন: যদি অসুস্থ বোধ করেন, তাহলে অবশ্যই বিরতি নিন।
গরমে ব্যায়াম করার অসুবিধা:
- হিট স্ট্রোক: অতিরিক্ত গরমে ব্যায়াম করলে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
- ডিহাইড্রেশন: যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করেন, তাহলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
- মাথাব্যথা: গরমে ব্যায়াম করলে মাথাব্যথা হতে পারে।
উপসংহার:
গরমের দিনেও ব্যায়াম করা সম্ভব। উপরের পরামর্শগুলো মেনে চললে আপনি নিরাপদে ব্যায়াম করতে পারবেন এবং শরীরকে সতেজ রাখতে পারবেন। তবে, যদি কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে ব্যায়াম শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আপনার জন্য আরও কিছু টিপস:
- বন্ধুদের সাথে ব্যায়াম করুন: এতে ব্যায়াম আরও মজাদার হবে।
- মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করুন: বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই ব্যায়াম করতে পারবেন।
- সঙ্গীত শুনুন: সঙ্গীত শুনতে শুনতে ব্যায়াম করলে সময় কাটবে না।
গরমের দিনে শিশুদের যত্ন নেওয়ার টিপস
গরমের দিনে শিশুদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখা খুবই জরুরি। এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল, যা মেনে চললে আপনি আপনার শিশুকে গরমের দিনে আরামদায় রাখতে পারবেন:
টিপস | বিবরণ |
তাদেরকে হাইড্রেটেড রাখুন | নিশ্চিত করুন যে আপনার শিশুরা প্রচুর পরিমাণে তরল পান করে, এমনকি তারা পিপাস না লাগলেও। ঠান্ডা পানি বা মিশ্রিত ফলের রস দিন। |
তাদেরকে গাড় বা হালকা রঙের কাপড় পরান | সুতির কাপড়ের পোশাক কারণ এগুলো নিঃশ্বাস নিতে দেয়। এবং গাঢ় রং এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো তাপ শোষণ করে। |
রোদের এক্সপোজার সীমাবদ্ধ করুন | সূর্যের সময় (সাধারণত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে) এড়িয়ে চলুন। যদি তাদের অবশ্যই বাইরে থাকতে হয়, তাহলে একটি বা ছাতা ব্যবহার করুন এবং নিশ্চিত করুন যে তারা একটি এবং সানগ্লাস পরেছে। |
সানস্ক্রিন লাগান | বা তার বেশি সহ একটি সানস্ক্রিন যাওয়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে আপনার সন্তানের ছেলে বা মেয়ে দের লাগান। প্রতি দুই ঘন্টা পরে, বা ঘাম বা সাঁতার কাটলে আরও বেশি করে লাগান। |
তাদেরকে ঠান্ডা স্নান করান | ঠান্ডা স্নান বা আপনার সন্তানের শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনি গলা এবং মুখ মুছে ফেলার জন্য ঠান্ডা ওয়াশক্লথ পણ ব্যবহার করতে পারেন। |
নিশ্চিত করুন যে তারা ঘুম পায় | শিশুরা প্রায়শই গরম লাগলে এবং ক্লান্ত বোধ করলে খিটখিটে হয়। রাতে ঘুম থাক করুন এবং দিনের সবচেয়ে গরম সময়ের মধ্যে একটি ছোট্ট বিবেচনা করুন। |
চিনিযুক্ত পানীয় এবং ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন | চিনিযুক্ত পানীয় আপনার সন্তানকে ডিহাইড্রেট করতে পারে, এবং ভারী খাবার তাদের অলস বোধ করতে পারে। এর পরিব ফল, সবজি এবং |
বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন গুলশান মিডিয়ার সাথে। ” কল করুন: 01779940833/ 01711246075
Email : gulshanmedia2@gmail.com
sonali islam