প্রচন্ড গরম আর তাপ প্রবাহকে দূর্যোগ হিসেবে গ্রহনের এখনই সময় ।
প্রচন্ড গরম আর তাপ প্রবাহকে দূর্যোগ হিসেবে গ্রহণ করা: সময় এসেছে
গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং তাপ প্রবাহের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রহণের সময় এসেছে যে এগুলোকে দূর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
কারণ:
- মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব: তীব্র গরম এবং তাপ প্রবাহ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- ডিহাইড্রেশন: গরমের কারণে শরীর থেকে তরল পদার্থ দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারে, যার ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
- হিট স্ট্রোক: তীব্র গরমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে, যার ফলে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
- হৃদরোগ: গরমের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
- শ্বাসকষ্ট: গরমের কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব: গরমের কারণে মানসিক অসুস্থতা, যেমন বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে পারে।
- অর্থনৈতিক প্রভাব: তীব্র গরম এবং তাপ প্রবাহ অর্থনীতির উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- কর্মক্ষমতা হ্রাস: গরমের কারণে শ্রমিকদের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
- উৎপাদনশীলতা হ্রাস: গরমের কারণে কৃষি ও শিল্পের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেতে পারে।
- পর্যটন শিল্পে ক্ষতি: তীব্র গরমের কারণে পর্যটন শিল্পে ক্ষতি হতে পারে।
- পরিবেশগত প্রভাব: তীব্র গরম এবং তাপ প্রবাহ পরিবেশের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- জলবায়ু পরিবর্তন: গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
- জীববৈচিত্র্য হ্রাস: তীব্র গরমের কারণে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পেতে পারে।
- বনজ সম্পদের ক্ষতি: তীব্র গরমের কারণে বনজ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সমাধান:
- সরকারি পদক্ষেপ: সরকারের উচিত তীব্র গরম এবং তাপ প্রবাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
- তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহ মোকাবেলায় সরকারি পদক্ষেপ:
- প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ:
- অর্থনৈতিক প্রভাব: বিস্তারিত আলোচনা
- অর্থনৈতিক প্রভাব বলতে বোঝায় কোন ঘটনা, নীতি, পরিবর্তন বা সিদ্ধান্তের ফলে অর্থনীতির উপর যে প্রভাব পড়ে। এই প্রভাব ইতিবাচক বা নেতিবাচক উভয়ই হতে পারে।
- অর্থনৈতিক প্রভাবের ধরণ:
- সরাসরি প্রভাব: এটি সরাসরি অর্থনীতির একটি নির্দিষ্ট দিককে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, কর হ্রাস করলে ব্যক্তিগত আয় বৃদ্ধি পেতে পারে, যার ফলে ভোগব্যয় বৃদ্ধি পায়।
- পরোক্ষ প্রভাব: এটি অর্থনীতির বিভিন্ন দিককে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেতে পারে, যার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পায় এবং দারিদ্র্য হ্রাস পায়।
- ক jangka pendek প্রভাব: এটি অল্প সময়ের মধ্যে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থনীতিকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
- দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব: এটি দীর্ঘ সময় ধরে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেতে পারে।
- অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়ন:
- অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়ন করার জন্য অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এর মধ্যে রয়েছে:
- অর্থনৈতিক মডেলিং: অর্থনীতিবিদরা অর্থনৈতিক মডেল ব্যবহার করে অর্থনীতির আচরণ অনুকরণ করেন এবং বিভিন্ন নীতি বা পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করেন।
- সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ: সামষ্টিক অর্থনীতিবিদরা অর্থনীতির সামগ্রিক কর্মক্ষমতা বিশ্লেষণ করেন এবং বিভিন্ন ঘটনা বা নীতির প্রভাব মূল্যায়ন করেন।
- ব্যষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ: ব্যষ্টিক অর্থনীতিবিদরা ব্যক্তি, পরিবার এবং ফার্মের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করেন এবং বিভিন্ন নীতি বা পরিবর্তনের তাদের উপর প্রভাব মূল্যায়ন করেন।
- উদাহরণ:
- কর হ্রাস: কর হ্রাস করলে ব্যক্তিগত আয় বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ভোগব্যয় বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
- শিক্ষায় বিনিয়োগ: শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
- শিক্ষায় বিনিয়োগ:
- শিক্ষায় বিনিয়োগ একটি দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- শিক্ষায় বিনিয়োগের সুবিধা:
- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেশি উৎপাদনশীল হয় এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখে।
- দারিদ্র্য হ্রাস: শিক্ষা দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি কার্যকর হাতিয়ার। শিক্ষিত ব্যক্তিরা ভালো চাকরি পেতে সক্ষম হয় এবং তাদের পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে।
- সামাজিক উন্নয়ন: শিক্ষা সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখে। শিক্ষিত মানুষ আরও সচেতন, সহনশীল এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী হয়।
- স্বাস্থ্য উন্নয়ন: শিক্ষিত মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও সচেতন হয় এবং তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়।
- অপরাধ হ্রাস: শিক্ষা অপরাধ হ্রাসে সহায়তা করে। শিক্ষিত মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
- বাংলাদেশে শিক্ষায় বিনিয়োগ:
- বাংলাদেশ সরকার শিক্ষায় বিনিয়োগের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য বাধ্যতামূলক শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছে। সরকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও উৎসাহিত করছে।
- তবে, শিক্ষা ব্যবস্থায় এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- শিক্ষার মান: শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য আরও অনেক কিছু করার আছে।
- শিক্ষকের অভাব: দেশে শিক্ষকের তীব্র ঘাটতি রয়েছে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব: দেশে পর্যাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।
- শিক্ষার খরচ: শিক্ষার খরচ অনেকের জন্য বহনযোগ্য নয়।
- সরকারের উচিত:
- শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।
- শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের জন্য আরও বেশি বিনিয়োগ করা।
- নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা।
- শিক্ষার খরচ কমানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।
- সকলের উচিত:
- শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
- শিক্ষায় বিনিয়োগ করা।
- শিশুদের শিক্ষার জন্য উৎসাহিত করা।
- উপসংহার:
- শিক্ষায় বিনিয়োগ একটি দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সরকার ও জনগণ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি শিক্ষিত ও উন্নত
- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা: জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে এবং নবায়নযোগ্য ऊर्जा উৎসে বিনিয়োগ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করা গুরুত্বপূর্ণ।
- শহরাঞ্চলে গাছপালা বৃদ্ধি: শহরাঞ্চলে বৃক্ষরোপণ বৃদ্ধি করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: জনসাধারণকে তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহের ঝুঁকি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য প্রচারণা চালানো।
- দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা: বয়স্ক, শিশু, এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তদের জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদান করা।
- জরুরী পরিকল্পনা প্রণয়ন: তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহ মোকাবেলায় জরুরী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
- প্রতিক্রিয়াশীল পদক্ষেপ:
- শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আশ্রয়কেন্দ্র: তীব্র গরম থেকে সুরক্ষার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা।
- জল সরবরাহ নিশ্চিত করা: সকলের জন্য পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করা।
- স্বাস্থ্যসেবা প্রদান: তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা।
- বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা: তীব্র গরমের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা।
- জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা: তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহ সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা।
- দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ:
- স্থায়ী নির্মাণ: তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহ প্রতিরোধী স্থায়ী নির্মাণ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
- সৌর ऊर्जा ব্যবহার: সৌর ऊर्जा ব্যবহার বৃদ্ধি করে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানো।
- পরিবেশ রক্ষা: বনায়ন বৃদ্ধি এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করা।
- উদাহরণ:
- বাংলাদেশে: বাংলাদেশ সরকার তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- জাতীয় তাপ প্রবাহ নীতিমালা, ২০২২: এই নীতিমালায় তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহ মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ও প্রতিক্রিয়াশীল পদক্ষেপের রূপরেখা প্রদান করা হয়েছে।
- জনসচেতনতা বৃদ্ধি: জনসাধারণকে তীব্র গরম এবং তাপ প্রবাহের ঝুঁকি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহ: জনসচেতনতা বৃদ্ধি
- তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহের ঝুঁকি মোকাবেলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কিছু পদক্ষেপ:
- প্রচারণা ও শিক্ষা:
- তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহের ঝুঁকি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে জনসাধারণকে শিক্ষিত করার জন্য টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, সামাজিক মাধ্যম, এবং অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো।
- স্কুল, কলেজ, এবং কর্মস্থলে তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা।
- তথ্য বিতরণ:
- তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহের ঝুঁকি, প্রতিরোধ ব্যবস্থা, এবং জরুরী পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে তথ্যপূর্ণ পুস্তিকা, লিফলেট, এবং পোস্টার বিতরণ করা।
- তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহের পূর্বাভাস ও সতর্কতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবগত রাখার জন্য আবহাওয়া বিভাগের ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার:
- তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা প্রদানের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা।
- তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহ সম্পর্কিত তথ্য ও পরামর্শ শেয়ার করার জন্য অনলাইন ফোরাম ও গোষ্ঠী তৈরি করা।
- স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ:
- তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহের ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা এবং তাদেরকে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে উৎসাহিত করা।
- তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহের সময় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে
- জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা তীব্র গরম ও তাপ প্রবাহের ঝুঁকি কমাতে এবং এর প্রভাব মোকাবেলায় আরও ভালভাবে প্রস্তুত হতে পারি।
- কিছু দরকারী সংস্থান:
- বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর:
- আবহাওয়া অধিদপ্তর:
- জাতিসংঘ শিশু তহবিল
- জাতিসংঘ শিশু তহবিল
- জাতিসংঘ শিশু তহবিল (UNICEF)
- UNICEF (জাতিসংঘ শিশু তহবিল) বিশ্বব্যাপী শিশুদের অধিকার রক্ষা ও তাদের উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে। এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা যা ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
- UNICEF-এর মূল লক্ষ্যগুলি হল:
- সকল শিশুর জন্য জীবন, বেঁচে থাকা এবং বিকাশের অধিকার রক্ষা করা।
- শিশুদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা।
- শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্য রোধ করা।
- শিশুদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব বৃদ্ধি করা।
- UNICEF বিশ্বের ১৯০ টিরও বেশি দেশে কাজ করে। এটি সরকার, বেসরকারি সংস্থা, এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে অংশীদারিত্ব করে।
- UNICEF-এর কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:
- শিশুদের জন্য টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
- শিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন ও পরিচালনা করা।
- শিশুদের জন্য পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।
- জরুরী পরিস্থিতিতে শিশুদের সহায়তা প্রদান করা।
- শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
- UNICEF-এর কাজ শিশুদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি বিশ্বব্যাপী শিশুদের মৃত্যুহার হ্রাস করতে, শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে, এবং শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
- বাংলাদেশে UNICEF-এর কার্যক্রম:
- UNICEF বাংলাদেশ সরকারের সাথে অংশীদারিত্ব করে শিশুদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।
- UNICEF শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, এবং সুরক্ষার ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে সহায়তা করে।
- UNICEF জরুরী পরিস্থিতিতে শিশুদের সহায়তা প্রদান করে।
- UNICEF শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
- UNICEF-এর ওয়েবসাইট:
- UNICEF-এর ফেসবুক পেজ
- UNICEF-এর টুইটার অ্যাকাউন্ট:
- আপনি UNICEF-এর কাজকে সমর্থন করতে পারেন:
- UNICEF-এর ওয়েবসাইটে অনুদান প্রদান করে।
- UNICEF-এর স্বেচ্ছাসেবক হয়ে।
- UNICEF-এর প্রচারণা ও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।
- শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য UNICEF-এর সাথে যোগ দিন!
- রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশ:
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশ (বিডিআরসিএস) :
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
- প্রতিষ্ঠা: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর
- মূল লক্ষ্য: দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য করা, বিশেষ করে যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ বা অন্যান্য জরুরী অবস্থার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত।
- কার্যক্রম:
- দুর্যোগ ত্রাণ ও ব্যবস্থাপনা
- স্বাস্থ্য সেবা
- সমাজকল্যাণ
- যুব ও তরুণ প্রশিক্ষণ
- মানবিক মূল্যবোধ প্রচার
- অংশীদার:
- সরকার
- আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন
- স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও
- স্বেচ্ছাসেবক
বিডিআরসিএস-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ:
- প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণ বিতরণ: বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিডিআরসিএস খাদ্য, আশ্রয়, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরী সরঞ্জাম বিতরণ করে।
- স্বাস্থ্য সেবা প্রদান: বিডিআরসিএস দেশব্যাপী স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল এবং রক্ত ব্যাংক পরিচালনা করে। এছাড়াও, মাতৃ-শিশু স্বাস্থ্য, টিকাদান এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও কাজ করে।
- সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম: বিডিআরসিএস দরিদ্র, অসহায় এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে:
- মাইক্রো ফাইন্যান্স: দরিদ্রদের আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করার জন্য ঋণ প্রদান।
- কೌশল প্রশিক্ষণ: দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার জন্য তাদের বিভিন্ন কৌশলে প্রশিক্ষণ প্রদান।
- শিক্ষা: দরিদ্র ও অবহেলিত শিশুদের জন্য শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা।
- মানবিক মূল্যবোধ প্রচার: বিডিআরসিএস বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ, যেমন সহানুভূতি, সহযোগিতা, এবং শান্তি, প্রচার করে।
বিডিআরসিএস-এর সাথে যুক্ত হওয়ার উপায়:
- স্বেচ্ছাসেবক: আপনি বিডিআরসিএস-এর বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
- দান: আপনি বিডিআরসিএস-কে অর্থ বা জিনিসপত্র দান করে তাদের কার্যক্রমকে সমর্থন করতে পারেন।
ব্যক্তিগত পদক্ষেপ: প্রত্যেক ব্যক্তিকে তীব্র গরম এবং তাপ প্রবাহের সময় নিজেদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষ
বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন গুলশান মিডিয়ার সাথে। ” কল করুন: 01779940833/ 01815152927
Email : gulshanmedia2@gmail.com
Sonali Islam