বিয়ের দেনমোহর কি ? কাবিন ও দেনমোহরানা মধ্যে পার্থক্য কি ?2024
দেনমোহর হলো স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ বা টাকা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি, যা ইসলামী বিবাহের (নিকাহ) শর্তগুলোর মধ্যে একটি। এটি মূলত স্ত্রীর অধিকার এবং স্বামীর ওপর বাধ্যতামূলক, যা কুরআন ও হাদিস দ্বারা নির্ধারিত।
দেনমোহরের গুরুত্ব ও বিধান:
-
কুরআনের নির্দেশনা:
কুরআনে আল্লাহ বলেন—
“তোমরা স্ত্রীদের তাদের মোহর স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রদান করো।” (সূরা আন-নিসা: ৪) -
স্ত্রীর অধিকার:
দেনমোহর শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি স্ত্রীর অধিকার এবং সে চাইলে তা যেকোনো সময় দাবি করতে পারে। -
স্বামীর বাধ্যবাধকতা:
দেনমোহর প্রদান করা স্বামীর দায়িত্ব। এটি নগদ বা পরবর্তীতে দেওয়া যেতে পারে (তাকদিরী ও মোয়াজ্জাল বা বিলম্বিত)। -
পরিমাণ নির্ধারণ:
ইসলামে নির্দিষ্ট সর্বনিম্ন পরিমাণ নির্ধারিত নেই, তবে এটি স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী হতে হবে। রাসূল (সা.) স্বল্প পরিমাণ উৎসাহিত করেছেন।
দেনমোহরের প্রকারভেদ:
- মহরে মোয়াজ্জাল (তাৎক্ষণিক দেনমোহর): বিয়ের সময় বা দ্রুত প্রদান করতে হয়।
- মহরে মুআজ্জাল (বিলম্বিত দেনমোহর): স্ত্রী যেকোনো সময়ে এটি দাবি করতে পারে, এবং স্বামীকে অবশ্যই তা পরিশোধ করতে হবে।
দেনমোহরের উদ্দেস্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
- স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝানো
- নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা কদেনমোহর ইসলামে স্ত্রীর জন্য একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে এবং এটি কোনো বোঝা নয়, বরং স্ত্রীর প্রতি সম্মানের প্রতীক।
কাবিন ও দেনমোহরের মধ্যে পার্থক্য:
সংজ্ঞা:
- কাবিন: কাবিন হলো বিবাহের চুক্তিপত্র, যেখানে দেনমোহরসহ বিবাহের অন্যান্য শর্তাবলী লিপিবদ্ধ থাকে।
- দেনমোহর: বিয়ের সময় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রদান করা অর্থ বা সম্পত্তি।
আবশ্যকতা:
- কাবিন: কাবিন ঐচ্ছিক। তবে, বিবাহের শর্তাবলী স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করার জন্য এটি করা উচিত।
- দেনমোহর: বাধ্যতামূলক। বৈধ বিবাহের জন্য নির্ধারণ করা আবশ্যক।
লিপিবদ্ধকরণ:
লিপিবদ্ধকরণ: কাবিন ও দেনমোহরের ক্ষেত্রে
ইসলামী বিবাহ ব্যবস্থায় লিপিবদ্ধকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, বিশেষ করে কাবিনের ক্ষেত্রে। লিপিবদ্ধকরণের কিছু সুবিধা রয়েছে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
কাবিন:
- আবশ্যক না কিন্তু বাঞ্ছনীয়: কাবিন লিখিত আকারে থাকা বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি করা সু বিবেচিত হয়। লিখিত কাবিন বিবাহের শর্তাবলী স্পষ্টভাবে দলিল করে রাখে, যা ভবিষ্যতে বিব
বাদে কোনো মতানৈক্য দেখা দিলে সহায়তা করে।
- কী লিপিবদ্ধ করা যায়? কাবিনে দেনমোহরের পরিমাণ, প্রকৃতি (অর্থ, স্বর্ণ ইত্যাদি),আদান প্রদানের সময়সীমা, বিবাহের অন্যান্য শর্তাবলী (যথা, মহরানা, স্ত্রীর শিক্ষা,
- চাকরি ইত্যাদি) লিপিবদ্ধ করা যেতে পারে।
দেনমোহর:
-
লিখিত বা মৌখিক: লিখিত আকারে বা মৌখিকভাবে নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে,
লিখিত দলিল থাকলে ভবিষ্যত নিয়ে কোনো বিवाद এড়ানো যায়।
-
সুবিধা: লিখিত দলিলে সাক্ষী থাকলে তা আরও বেশি মজবুত প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
কীভাবে লিপিবদ্ধ করবেন ?
-
কাবিননাमा : বিবাহের আলেম বা কাজী সাহেব সাধারণত কাবিননাमा তৈরি করেন। এতে বিবাহের বিবরণ, কাবিনের শর্তাবলী, সাক্ষীদের স্বাক্ষর থাকে।
-
অন্যান্য লিখিত দলিল: আইনজীবীর সাহায্য নিয়েও একটি লিখিত চুক্তি তৈরি করা যেতে পারে
লিপিবদ্ধকরণ বিবাহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করে। যদিও কাবিনের ক্ষেত্রে লিখিত দলিল বেশি প্রয়োজনীয়, লিখিতপ্রমাণ থাকলে ভবিষ্যতে সমস্যা এড়ানো যায়।
-
কাবিন: কাবিন লিখিত আকারে থাকা উচিত।
-
দেনমোহর: লিখিত বা মৌখিকভাবে নির্ধারণ করা যেতে পারে।
পরিবর্তন:
- কাবিন: বিবাহের পরে কাবিনের শর্তাবলী পরিবর্তন করা যায়।
- দেনমোহর: পরিবর্তন করা যায় না।
মালিকানা:
- কাবিন: কাবিনের মালিকানা স্বামী ও স্ত্রীর jointly থাকে।
- দেনমোহর: মালিকানা স্ত্রীর।
ব্যবহার:
- কাবিন: কাবিনের শর্তাবলী অনুযায়ী স্বামী ও স্ত্রী কাবিনের অর্থ ব্যবহার করতে পারে।
- দেনমোহর: স্ত্রী তার ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারে।
উদাহরণ:
- কাবিন: ধরা যাক, একটি কাবিনে লিখিত আছে যে, স্বামী তার স্ত্রীকে ১০ লাখ টাকা এবং একটি গাড়ি উপহার দেবে।
- দেনমোহর: এই ক্ষেত্রে, ১০ লাখ টাকা । এবং গাড়িটি হলো উপহার।
উপসংহার:
কাবিন ও দেনমোহর দুটোই ইসলামী বিবাহ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাবিন বিবাহের শর্তাবলী নির্ধারণ করে, স্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
দ্রষ্টব্য:
- উপরে উল্লেখিত পার্থক্যগুলো হলো সাধারণ নীতি। বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম হতে পারে।
- বিস্তারিত জানার জন্য আপনার উচিত একজন বিশ্বস্ত আলেমের সাথে পরামর্শ করা।
দেনমোহরের গুরুত্ব:
- স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠা: স্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে।
- সাংসারিক জীবনে সুখ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও স্নেহ বৃদ্ধি করে এবং সুখী দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি স্থাপন করে।
- সামাজিক ন্যায়বিচার: দেনমোহর সমাজে নারীর অবস্থান উন্নত করতে এবং লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে।
উপসংহার:
ইসলামী বিবাহ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ইসলামী বিবাহ ব্যবস্থায় বিয়ের সময় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রদান করা অর্থ বা সম্পত্তি। এটি শুধুমাত্র একটি রীতিনীতি নয়, বরং ইসলামী শরিয়তের একটি বাধ্যতামূলক বিধান।
দেনমোহরের বিধান:
- শর্তহীন: অবশ্যই শর্তহীন হতে হবে।
- নির্ধারিত পরিমাণ: পরিমাণ স্ত্রীর ইচ্ছা ও স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারণ করা উচিত।
- আদায়ের সময়: বিবাহের সময়ই আদায় করা উচিত। তবে, স্ত্রী পছন্দ করলে বিবাহের পরেও তা আদায় করতে পারে।
- দেনমোহরের মালিকানা: স্ত্রীর মালিকানায় চলে যায়।
- দেনমোহরের ব্যবহার: স্ত্রী তার ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারে।
কাবিন ও দেনমোহরের মধ্যে পার্থক্য:
| বৈশিষ্ট্য | কাবিন | দেনমোহর |
| সংজ্ঞা | বিবাহের চুক্তিপত্র | বিয়ের সময় স্ত্রীকে প্রদান করা অর্থ/সম্পত্তি |
| আবশ্যকতা | ঐচ্ছিক | বাধ্যতামূলক |
| লিপিবদ্ধকরণ | লিখিত আকারে থাকা উচিত | লিখিত/মৌখিকভাবে নির্ধারণ করা যায় |
| পরিবর্তন | বিবাহের পরে পরিবর্তন করা যায় | পরিবর্তন করা যায় না |
দেনমোহরের গুরুত্ব:
- স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠা: স্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে।
-
স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠা
ইসলামে স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠা:ইসলামে স্ত্রীকে সম্মান ও মর্যাদার সাথে জীবনযাপন করার অধিকার প্রদান করা হয়েছে। স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠা সমাজে ন্যায়বিচার ও সুস্থ পরিবার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কুরআন ও হাদিসে স্ত্রীর অধিকার:
- আল্লাহ্ তায়ালার নির্দেশ:
“পুরুষদের উপর নারীদের কিছু অধিকার আছে এবং নারীদেরও পুরুষদের উপর কিছু অধিকার আছে।” ([সূরা আল-বাক্বরাহ: 228])
- নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বাণী:
“তোমাদের স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণ করো। কারণ তারা তোমাদের কাছে আল্লাহ্র আমানত।” ([তিরমিযি])
স্ত্রীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধিকার:
- দেনমোহর: বিবাহের সময় স্ত্রীকে অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
- জীবিকা: স্বামী স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্বে থাকেন।
- বাসস্থান: স্ত্রীকে নিরাপদ ও সুন্দর বাসস্থান প্রদান করা স্বামীর কর্তব্য।
- শিক্ষা: স্ত্রীর জ্ঞান অর্জনের অধিকার রয়েছে।
- স্বাস্থ্যসেবা: স্ত্রীর যথাযথ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
- মত প্রকাশ: স্ত্রী তার মতামত প্রকাশ করার অধিকার রাখে।
- ধর্মীয় অনুশীলন: স্ত্রী তার ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনযাপন করার অধিকার রাখে।
- মানসিক সমর্থন: স্ত্রীকে মানসিক সমর্থন ও ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
স্ত্রীর অধিকার রক্ষা:
- সচেতনতা বৃদ্ধি: স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
- শিক্ষা: নারী শিক্ষার মাধ্যমে তাদের অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও সচেতন হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
- আইনি পদক্ষেপ: নারীর অধিকার লঙ্ঘিত হলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
- সামাজিক সমর্থন: নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজের সকলের সমর্থন প্রয়োজন।
উপসংহার:
ইসলামে স্ত্রীকে সম্মান ও মর্যাদার সাথে জীবনযাপন করার অধিকার প্রদান করা হয়েছে। স্ত্রীর অধিকার রক্ষা সমাজের সকলের দায়িত্ব। স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে পারি
- আল্লাহ্ তায়ালার নির্দেশ:
- সাংসারিক জীবনে সুখ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও স্নেহ বৃদ্ধি করে এবং সুখী দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি স্থাপন করে।
- সামাজিক ন্যায়বিচার: সমাজে নারীর অবস্থান উন্নত করতে এবং লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে।
দেনমোহরের পরিমাণ:
স্ত্রীর ইচ্ছা ও স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারণ করা উচিত। ইসলামে স্ত্রীর জন্য সর্বনিম্ন নির্ধারণ করা হয়নি। তবে, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) তার স্ত্রীদের জন্য উচ্চ পরিমাণে নির্ধারণ করেছিলেন, যা তাঁর সামর্থ্যের প্রমাণ বহন করে।
দেনমোহর আদায়ের পদ্ধতি:
সময়ই আদায় করা উচিত। তবে, স্ত্রী পছন্দ করলে বিবাহের পরেও তা আদায় করতে পারে। নগদ অর্থ, স্বর্ণ, জমি, বা অন্য যেকোনো সম্পত্তির আকারে হতে পারে।
একটি সুখী এবং স্থায়ী দাম্পত্য জীবন গঠনে ভূমিকা অস্বীকার্য। এটি বিবাহকে কেবল আইনি চুক্তি নয়, বরং পারস্পরিক সম্মান ও দায়বদ্ধতার বন্ধনে পরিণত করে।
ইসলামে দেনমোহর আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারিত নেই। তবে, কিছু সাধারণ নীতিমালা অনুসরণ করা উচিত যা উভয় পক্ষের জন্য ন্যায়বিচার ও সুবিধাজনক হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ:
১. বিবাহের সময়:
- দেনমোহর নির্ধারণ: বর ও কন্যার পক্ষ যৌথভাবে দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করে।
- লিখিত চুক্তি: দেনমোহরের পরিমাণ, প্রকৃতি (অর্থ, স্বর্ণ ইত্যাদি), আদান-প্রদানের সময়সীমা এবং অন্যান্য শর্তাবলী লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ করা উচিত।
- সাক্ষী: লিখিত চুক্তিতে দুই বা তিনজন সাক্ষীর স্বাক্ষর থাকা উচিত।
২. দেনমোহর আদায়:
- তৎক্ষণ প্রদান: বিবাহের সময়ই দেনমোহরের পুরো অংশ বা একটি অংশ প্রদান করা যেতে পারে।
- বিলম্বিত প্রদান: পুরো অংশ বা একটি অংশ বিবাহের পরবর্তী সময়ে প্রদান করা যেতে পারে। লিখিত চুক্তিতে আদান-প্রদানের সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকে।
- স্বামীর দায়িত্ব: স্বামী প্রদানের জন্য আইনি ও ধর্মীয়ভাবে দায়ী।
- স্ত্রীর অধিকার: স্ত্রী তার ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারে।
দেনমোহর আদায়: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ইসলামে দেনমোহর:
- একটি শর্ত: ইসলামে, বৈধ বিবাহের জন্য নির্ধারণ করা একটি বাধ্যতামূলক শর্ত।
- স্ত্রীর অধিকার: স্ত্রীর একটি স্পষ্ট অধিকার, যা বিবাহের সময় স্বামী কর্তৃক নির্ধারিত হয়।
- পরিমাণ নির্ধারণ: পরিমাণ পাত্র-পাত্রীর সম্মতিক্রমে নির্ধারিত হয়।
- ধরণ: নগদ অর্থ, সম্পত্তি, অথবা অন্য যেকোনো মূল্যবান জিনিস হতে পারে।
দেনমোহর আদায়ের পদ্ধতি:
- নগদ পরিশোধ: স্বামী বিবাহের সময়ই স্ত্রীকে দেনমোহর পরিশোধ করতে পারেন।
- বাকিতে: স্বামী স্ত্রীর সম্মতিতে কিছু অংশ বাকিতে রাখতে পারেন।
- মৃত্যুর পর: স্বামীর মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারীদের পরিশোধ করার দায়িত্ব থাকে। ক্ষেত্রে স্ত্রী তার সম্পূর্ণ অধিকারী।
- ক্ষেত্রে স্ত্রীকে কিছু পরিমাণ ত্যাগ করতে হতে পারে।
দেনমোহর আদায়ে জটিলতা:
- অস্বীকার: কিছু ক্ষেত্রে, স্বামীরা তাদের পরিশোধ করতে অস্বীকার করেন।
- অপর্যাপ্ত পরিমাণ: নির্ধারিত স্ত্রীর যৌতুকের তুলনায় অনেক কম হতে পারে।
- দীর্ঘসূত্রিতার: আইনি প্রক্রিয়া দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল হতে পারে।
দেনমোহর আদায়ে সহায়তা:
- আইনি পরামর্শ: একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে আপনার অধিকার সম্পর্কে জানতে পারেন।
- মহিলা অধিকার সংস্থা: বিভিন্ন মহিলা অধিকার সংস্থা আদায়ে আইনি সহায়তা প্রদান করে।
- পরিবার ও সমাজের সহায়তা: পরিবার ও সমাজের সদস্যদের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন:
- দলিল সংরক্ষণ: বিবাহের সময় নির্ধারিত লিখিত দলিল সংরক্ষণ করুন।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- আইনি পদক্ষেপ: আপনার অধিকার আদায়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবেন না।
দেনমোহর শুধুমাত্র একটি আর্থিক লেনদেন নয়, বরং স্ত্রীর প্রতি সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক।
আরও তথ্যের জন্য:
- তালাক: তালাকের ক্ষেত্রে, মহরানার পরিমাণ নির্ভর করে তালাকের ধরন ও দাম্পত্য জীবনের উপর।
- স্ত্রীর মৃত্যু: স্ত্রীর মৃত্যুর পর, যদি তাদের সন্তান না থাকে, তাহলে স্বামীর কাছে ফিরে যাবে।
- স্বামীর মৃত্যু: স্বামীর মৃত্যুর পর, স্ত্রী তার দেনমোহর তার স্বামীর সম্পত্তি থেকে পাবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- স্পষ্ট যোগাযোগ: বর ও কন্যার পক্ষ উভয়ের মধ্যে স্পষ্ট ও উন্মুক্ত যোগাযোগ থাকা প্রয়োজন।
- পারস্পরিক সম্মান: আদায়ের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষকেই একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।
- সহযোগিতা:আদায়ের বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহযোগিতা থাকা উচিত।
- আইনি সহায়তা: প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
উপসংহার:
দেনমোহর ইসলামী বিবাহ ব্যবস্থার একটি কీ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি স্ত্রীকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে, তার সম্মান প্রতিষ্ঠা করে এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক জোড়ালো করে। দেনমোহর নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্ত্রীর মতামত গুরুত্বপূর্ণ। আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি না থাকলেও, উভয় পক্ষের জন্য ন্যায়বিচার ও সুবিধাজনক পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। স্পষ্ট যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান এবং সহযোগিতার মাধ্যমে দেনমোহর
বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন গুলশান মিডিয়ার সাথে। ” কল করুন: – 01711246075
Email : gulshanmedia2@gmail.com
Sonali Islam
Other Articles
Best marriage site in Bangladesh Gulshan media.com
শিশু সুরক্ষা প্রয়োজনীয়তা কি ? ২০২৪
