স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত ২০২৩
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত ২০২৩

স্বামী-স্ত্রীর মানব জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। এটি শুধু একটি সামাজিক চুক্তি নয়, বরং আত্মিক, মানসিক ও নৈতিক একটি বন্ধন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সুখময় হলে ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি সমাজও সুস্থ ও সমৃদ্ধ হয়। অন্যদিকে, এই সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হলে তা শুধু দুটি ব্যক্তিকে নয়, একটি পরিবার, এমনকি সমাজকে প্রভাবিত করে। তাই এই সম্পর্কে পারস্পরিক ভালোবাসা, সম্মান, সহযোগিতা এবং দায়িত্ববোধ থাকা আবশ্যক।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মূল ভিত্তি
১. ভালোবাসা ও সহানুভূতি:
একটি দাম্পত্য সম্পর্কের মূলে থাকা উচিত আন্তরিক ভালোবাসা। ভালোবাসা শুধু আবেগ নয়, এটি দায়িত্ব, ত্যাগ এবং পরস্পরের প্রতি সহানুভূতির প্রকাশ। ভালোবাসা থাকলে ছোটখাটো ঝগড়াও সম্পর্ককে ভাঙতে পারে না।
২. পারস্পরিক সম্মান:
সম্পর্ক টিকে থাকে পারস্পরিক সম্মানের মাধ্যমে। স্বামী যেমন স্ত্রীর মতামতকে গুরুত্ব দেবেন, তেমনি স্ত্রীও স্বামীর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন। দাম্পত্য জীবনে কেউ কারো ঊর্ধ্বে নয়—দুজনেই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
৩. বিশ্বাস ও বিশ্বস্ততা:
যে সম্পর্কের ভিত বিশ্বাসে গড়া, সে সম্পর্ক কখনো সহজে ভাঙে না। স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে। গোপনীয়তা রক্ষা, প্রতিশ্রুতি পালন, এবং একজন আরেকজনের ওপর নির্ভর করার জায়গা থাকা দরকার।
৪. যোগাযোগ ও খোলামেলা আলোচনা:
ভুল বোঝাবুঝি অনেক সময় সম্পর্ককে নষ্ট করে। তাই সব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত। কারো মনের কষ্ট মনে রেখে না বললে তা ধীরে ধীরে বিষে পরিণত হয়।
স্বামী হিসেবে দায়িত্ব ও আচরণ কেমন হওয়া উচিত
১. স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বশীলতা:
স্বামীকে মনে রাখতে হবে, স্ত্রী তার জীবনের সঙ্গী। তার আবেগ, চাহিদা ও স্বপ্নের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। সংসারের যাবতীয় বিষয় শুধু উপার্জনে সীমাবদ্ধ না রেখে স্ত্রীর সাথে ভাগ করে নেওয়া উচিত।
২. সহানুভূতিশীল ও সহনশীল হওয়া:
অনেক সময় স্ত্রীর আবেগ, শারীরিক দুর্বলতা বা পারিবারিক চাপে সে হয়তো ঠিকমতো আচরণ করতে পারে না। তখন স্বামীর উচিত ধৈর্য ধরা ও বুঝে নেওয়া।
৩. পরিবারের ভারসাম্য বজায় রাখা:
স্বামীকে শ্বশুর-শাশুড়ি এবং স্ত্রীকে তার নিজের পরিবার—এই দুইয়ের মাঝে ভারসাম্য বজায় রেখে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হয়। একপেশে মনোভাব সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলে।
৪. আত্মিক বন্ধুত্ব গড়ে তোলা:
স্ত্রীকে শুধু একজন গৃহিণী হিসেবে নয়, বরং বন্ধু, পরামর্শদাতা এবং জীবনের সহযাত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এতে সম্পর্ক আরও গভীর ও দৃঢ় হয়।
স্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব ও আচরণ কেমন হওয়া উচিত
১. সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদান:
স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা থাকা দরকার। সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরামর্শ দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব যেহেতু স্বামীর ওপর, তাই স্ত্রীকে কিছু ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরতে হয়।
২. স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সংসার পরিচালনায় দক্ষতা:
একটি সুন্দর সংসার গঠনে স্ত্রীর ভূমিকাই মুখ্য। সে যদি সংগঠিত ও সচেতন হয়, তাহলে পরিবারে সুখ, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় থাকে।
৩. ভালোবাসা ও মানসিক সমর্থন:
স্ত্রীর ভালোবাসা ও মানসিক সমর্থন স্বামীর জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে। জীবন যুদ্ধে স্বামীর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকার মাধ্যমেই স্ত্রী প্রকৃত সঙ্গী হয়ে ওঠে।
৪. স্বামীর পরিবারকে সম্মান করা:
স্বামীর পরিবারের প্রতি সম্মান দেখানো, যত্ন নেওয়া—এগুলো সম্পর্কের ভিত মজবুত করে। বিশেষ করে শাশুড়ি ও দেবর/ননদের সাথে সুসম্পর্ক রাখলে পারিবারিক পরিবেশ আনন্দময় হয়।
দাম্পত্য জীবনে সাধারণ কিছু চ্যালেঞ্জ ও সমাধান
১. আর্থিক সমস্যা:
অর্থনৈতিক টানাপোড়েন অনেক সময় দাম্পত্য কলহের কারণ হয়। এক্ষেত্রে একে অপরকে দোষারোপ না করে, যৌথভাবে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
২. সময় না দেওয়া:
আধুনিক জীবনের ব্যস্ততায় অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে সময় দিতে পারে না। কিন্তু সময় দেওয়া মানে শুধু একসাথে থাকা নয়, বরং মনোযোগ দিয়ে কথা বলা, অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া।
৩. তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ:
দাম্পত্য সম্পর্কের কোনো সমস্যা হলে তা অন্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে, নিজেদের মধ্যে সমাধান করাই উত্তম। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অনেক সময় সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে।
৪. বিশ্বাসভঙ্গ ও সন্দেহ:
সম্পর্কের শত্রু হলো সন্দেহ। যদি কোথাও সন্দেহের উদ্রেক হয়, তবে সরাসরি আলোচনা করাই শ্রেয়। প্রমাণহীন অভিযোগে সম্পর্ক ভেঙে দিতে নেই।
ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক
ইসলামে দাম্পত্য সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র হিসেবে দেখা হয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে:
“আর তাঁর নিদর্শনসমূহের অন্যতম এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও, এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়ালুতা সৃষ্টি করেছেন।”
— (সূরা আর-রূম, আয়াত: ২১)
পুরুষের দায়িত্ব: স্ত্রীকে ভালোবাসা, ভরণ-পোষণ, নিরাপত্তা দেওয়া, তার সম্মান রক্ষা করা।
নারীর দায়িত্ব: স্বামীর নির্দেশ মান্য করা, তার সম্পদ ও সম্মান রক্ষা করা, সুখে-দুঃখে পাশে থাকা।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।”
— (তিরমিজি)
আধুনিক বাস্তবতায় কিছু বাড়তি চ্যালেঞ্জ ও করণীয়
১. নারীর কর্মজীবন ও সংসার:
আজকাল অনেক নারী চাকরি বা ব্যবসা করেন। তাই সংসারের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া এখন সময়ের দাবি। স্বামী-স্ত্রী যদি একে অপরকে সহায়তা করে, তবে উভয়ের কাজ এবং সংসার উভয়ই সফলভাবে চলবে।
- সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রাইভেসি:
বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সম্পৃক্ততা অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝির কারণ হয়। একে অপরের গোপনীয়তা রক্ষা করে চলা উচিত, তবে সন্দেহ না রেখে উন্মুক্ত ও বিশ্বাসভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তোলাই শ্রেয়। - সন্তানদের লালন-পালনে একতা:
সন্তানের শিক্ষা ও নীতিবোধ গঠনে স্বামী-স্ত্রীকে একমত হতে হয়। তাদের সামনে পারস্পরিক বিবাদ বা তুচ্ছাচ্ছু করা সন্তানদের মনস্তত্ত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
উপসংহার
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হলো একটি জীবনের সহযাত্রা। এই যাত্রায় কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি, আবার কখনো ঝড় আসতে পারে। কিন্তু হাতে হাত ধরে থাকলে সবকিছুই পার হওয়া যায়। ভালোবাসা, সম্মান, বিশ্বাস, সহনশীলতা আর বোঝাপড়াই এই সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি।
একজন আদর্শ স্বামী বা স্ত্রী হওয়ার মানে নিখুঁত হওয়া নয়, বরং একে অপরের অসম্পূর্ণতা বুঝে তাকে ভালোবাসা, গ্রহণ করা ও সহযোগিতা করাই প্রকৃত অর্থে দাম্পত্য জীবনের সৌন্দর্য। তাই আসুন, আমরা সবাই আমাদের দাম্পত্য সম্পর্ককে আরও সুন্দর, সুশৃঙ্খল এবং পরিপূর্ণ করে তুলি।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে (স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন; আর (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। (সুরা নিসা : আয়াত ১)
উল্লেখিত আয়াতে কারিমা থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে স্বামী- স্ত্রীর মাধ্যমেই বংশ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছেন। আর মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা জেন রেখ, তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের ওপর অধিকার আছে। আর তোমাদের স্ত্রীদেরও অধিকার আছে তোমাদের ওপর।’
পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করে অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের প্রতি কল্যাণকামী হও।’
স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক বা ভালোবাসা কেমন হবে; দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক কেমন হবে; তার বিবরণ ফুটে ওঠেছে স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পারিবারিক জীবনে। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।
>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে খেলাধূলা করতেন। একবার তিনি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়ে ইচ্ছা করে হেরে যান। কিছুদিন পর পুনরায় দৌঁড় প্রতিযোগিতায় হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হেরে যান।
অতপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে আয়েশা! আজ আমি তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি, তুমি আমার সঙ্গে পারনি। এটা হলো প্রথম প্রতিযোগিতায় জিতে যাওয়ার বদলা।
>> বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় স্ত্রীদের সঙ্গে বসে বিভিন্ন ঘটনা, কাহিনি ও আন্যান্য আলোচনা করতেন। এমনকি প্রত্যেক স্ত্রীও বিশ্বনবিকে পালাক্রমে নতুন নতুন কিসসা-কাহিনি শুনাতেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে নিজেও তাঁদেরকে কিসসা শুনাতেন।
>> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে এমনভাবে হাসতেন, কথা বলতেন ও বসে থাকতেন, আমাদের মনেই হতো না যে তিনি একজন মহান রাসুল।
>> তিনি কখনো তাঁর স্ত্রীদের ভৎসনা, তিরস্কার করতেন না এবং তাদের সঙ্গে কটাক্ষ ভাষায় কথা বলতেন না। বরং মায়া-মমতায় মন জুড়ানো আকর্ষণীয় কথা বলতেন। তাঁর কথার ভাবভঙ্গিতে স্ত্রীদের মন জুড়িয়ে যেতো।
>> বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রীদের কোনো কথা তাঁর মনের বিপরীত হলে তাদের সে কথা থেকে মনোযোগ ফিরিয়ে অন্য চিন্তা করতেন। তিনি স্ত্রীগণকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাদের চুমু দিতেন এবং কখনো কখনো তাদের উরুতে মাথা রেখে শুয়ে বিশ্রাম নিতেন।
>> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা পাত্রের যে স্থানে মুখ দিয়ে পানি পান করতেন, বিশ্বনবিও সে স্থানে মুখ দিয়েই পানি পান করতেন।
আবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাঁড়ের যে জায়গা থেকে গোস্ত খাওয়া শুরু করতেন হজরত আশয়া রাদিয়াল্লাহু আনহাও হাড়ের ঐ জায়গা থেকে গোস্ত খাওয়া শুরু করতেন।’
এ থেকেও প্রমাণিত হয় যে, বিশ্বনবির দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীদের সঙ্গে কত মধুর সম্পর্ক ছিল।
>> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত খুশি মনে মুচকি হাসতে হাসতে গৃহে প্রবেশ করতেন এবং দরদমাখা কণ্ঠে সালাম দিতেন। বিশ্রামের সময় বিছানার ব্যাপারে কোনো দোষ ধরতেন না, এমনকি বিছানা যেভাবে পেতেন তার উপরই শুয়ে পড়তেন।
>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তম স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম স্বামী যে তার স্ত্রীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে। আমি আমার স্ত্রীদের সঙ্গে সবার চাইতে ভাল ব্যবহার করি।
পরিশেষে…
বিশ্বনবির দাম্পত্য জীবনের আলোকে বুঝা যায় যে, সুখ ও শান্তিময় জীবন যাপনে স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্কে বিকল্প নেই। জীবনকে সুখ-শান্তি ও আনন্দময় করে তুলতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণ আবশ্যক কর্তব্য।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের প্রত্যেকের দাম্পত্য জীবনকে সুখ ও শান্তিময় করে গড়ে তুলতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাম্পত্য জীবনের মতো করেই রাঙিয়ে নেয়া জরুরি।
আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদিকে তাঁর মতো করে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।