বিয়ের এবং বিবাহের দোয়া করার সঠিক নিয়ম কি ?

0
46
বিয়ের এবং বিবাহের দোয়া করার সঠিক নিয়ম
বিয়ের এবং বিবাহের দোয়া করার সঠিক নিয়ম
Advertisement
Google search engine
বিয়ের এবং বিবাহের দোয়া করার সঠিক নিয়ম
বিয়ের এবং বিবাহের দোয়া করার সঠিক নিয়ম

বিয়ের এবং বিবাহের দোয়া করার সঠিক নিয়ম নির্দিষ্ট কোন নিয়মাবলীতে আবদ্ধ নয়। তবে কিছু বিষয় অনুসরণ করলে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

১. আন্তরিকতা:

  • দোয়া করার সময় মনোযোগ এবং আন্তরিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • কেবল ঠোঁটে ঠোঁটে দোয়া না করে, বরং মনের গভীর থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।

২. পবিত্রতা:

  • দোয়া করার পূর্বে ওযু করা উত্তম।
  • পবিত্র পোশাক পরিধান করাও ভালো।

৩. সময়:

  • বিশেষ কোন সময় নির্ধারিত না থাকলেও, কিছু সময় দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হয়।
  • যেমন:
    • রাতের শেষ তৃতীয়াংশে
    • সুবহে সাদিকের সময়
    • বৃষ্টির সময়
    • জুমার দিন

৪. দোয়ার ভাষা:

  • দোয়া বাংলায় বা আরবিতে যেকোন ভাষায় করা যেতে পারে।
  • তবে দোয়ার অর্থ বুঝে, মনের ভাব প্রকাশ করে দোয়া করা উচিত।

৫. কিছু নির্দিষ্ট দোয়া:

  • বিয়ের এবং বিবাহের জন্য কিছু নির্দিষ্ট দোয়া প্রচলিত আছে।
  • যেমন:
    • بارك الله لك وبارك عليك وجمع بينكما في خير” (তিরমিযী, মিশকাত)
    • اللهم اجعلها زوجة صالحة وباركة لها في نفسها وذريتها” (তিরমিযী)
    • اللهم اجعله زوجا صالحا وبارك له في نفسه وذريته” (তিরমিযী)

৬. অন্যান্য:

  • দোয়ার সাথে সাথে আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত।

অবশ্যই, দোয়ার সাথে সাথে আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কিছু উপায়:

  • আল্লাহর অগণিত নেয়ামতের কথা স্মরণ করা এবং  কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
  • আল্লাহর প্রশংসা গুণগান করা।
  • নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত ইত্যাদি ইবাদত-বন্দেগী পালন করা।
  • দান-সদকা করা।
  • অন্যদের সাহায্য করা।
  • আল্লাহর নিয়ামতের সঠিক ব্যবহার করা।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ফলে:

  • আল্লাহর রহমত বরকত বর্ষিত হয়।
  • আমাদের জীবনে সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
  • আমাদের ঈমান তাকওয়া বৃদ্ধি পায়।
  • আমাদের দুনিয়া আখেরাতের জীবন উন্নত হয়।

দোয়া করার সময়ও আমরা আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি। যেমন, দোয়ার শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে শুরু করা, দোয়ার শেষে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে শেষ করা।

মনে রাখতে হবে:

  • কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা কেবল একটি কর্তব্য নয়, বরং এটি একটি নিয়ামতও।
  • কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নিকটতর হতে পারি।

বিয়ের জন্য আল্লাহর কাছে ধৈর্য ও তাওফিক চাওয়া যেতে পারে।

 বিয়ের জন্য আল্লাহর কাছে ধৈর্য ও তাওফিক চাওয়া যেতে পারে। বিয়ের জন্য উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটির জন্য ধৈর্য ও আল্লাহর তাওফিকের প্রয়োজন।

বিয়ের জন্য আল্লাহর কাছে ধৈর্য ও তাওফিক চাওয়ার কিছু উপায়: এখানে ক্লিক করুন

১. দোয়া:

  • নিয়মিতভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং তাঁর কাছে ধৈর্য ও তাওফিক চাওয়া।
  • বিয়ের জন্য নির্দিষ্ট কিছু দোয়া আছে যা পড়া যেতে পারে।
  • যেমন:
    • اللهم ارزقني زوجة صالحة تقر بها عيني وتسكن بها نفسي” (তিরমিযী)
    • اللهم اجعلني زوجا صالحا تقر به عين زوجتي ويسكن به نفسه” (তিরমিযী)

২. তাওয়াক্কুল:

  • আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখা এবং বিশ্বাস করা যে আল্লাহ্ আমাদের জন্য সর্বোত্তম সঙ্গী নির্ধারণ করে রেখেছেন।
  • তাওয়াক্কুলের মাধ্যমে আমরা ধৈর্য ধরতে পারি এবং আল্লাহর রায়ের প্রতি বিনীত থাকতে পারি।

৩. সৎকর্ম:

  • নিয়মিতভাবে নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত ইত্যাদি ইবাদত-বন্দেগী পালন করা।
  • দান-সদকা করা এবং অন্যদের সাহায্য করা।
  • সৎকর্মের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে প্রিয় হতে পারি এবং আল্লাহ্ আমাদের দোয়া কবুল করতে পারেন।

৪. ইস্তেখারা:

  • বিয়ের জন্য কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আল্লাহর কাছে ইস্তেখারা করা।
  • ইস্তেখারার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছ থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য নির্দেশনা লাভ করতে পারি।

মনে রাখতে হবে:

  • বিয়ের জন্য ধৈর্য ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • তাড়াহুড়ো করে বিয়ে করা উচিত নয়।
  • আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রেখে এবং সৎকর্মের মাধ্যমে আমরা আমাদের জন্য উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পেতে পারি।

মনে রাখতে হবে:

  • দোয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর রহমত ও ইচ্ছাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
  • তাই ধৈর্য ধরে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও, নিজস্ব ভাষায় আল্লাহর কাছে বিয়ের এবং বিবাহের জন্য সুন্দর সাবলীল দোয়া করা যেতে পারে।

বিয়ের পর দম্পতির প্রথম আমল কি

বিয়ের পর দম্পতির প্রথম আমল হলো:

১. দোয়া:

  • নব দম্পতির উচিত একে অপরের জন্য দোয়া করা।
  • স্বামী স্ত্রীর মাথায় হাত রেখে দোয়া করবে।
  • কিছু নির্দিষ্ট দোয়া প্রচলিত আছে যা পড়া যেতে পারে।

২. দু’রাকাত নামাজ:

  • নব দম্পতির উচিত একসাথে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা।
  • এটি তাদের নতুন জীবনের শুভ সূচনা হবে।

৩. সৎভাবে সংসার করার নিয়ত করা:

  • নব দম্পতির উচিত একে অপরের প্রতি সৎ থাকার এবং সুন্দরভাবে সংসার করার নিয়ত করা।
  • পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে তাদের জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধ করা।

৪. পরিবারের সাথে পরিচয়:

  • নব দম্পতির উচিত একে অপরের পরিবারের সাথে পরিচিত হওয়া এবং তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।

৫. মধুচন্দ্রিমা:

  • নব দম্পতির উচিত কিছুদিনের জন্য মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া।
  • এটি তাদের একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানার এবং তাদের নতুন জীবনের শুরু করার একটি সুযোগ।

মধুচন্দ্রিমা হলো নবদম্পতিদের দ্বারা উদযাপিত এক ধরণের সময়। এটি বিয়ের পরে একটি বিশেষ সময়কাল যেখানে দম্পতিরা একসাথে সময় কাটাবে, একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানবে এবং তাদের নতুন জীবনের শুরু করবে। মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া একটি ঐতিহ্য এবং এটি দম্পতিদের জন্য একটি মধুর অভিজ্ঞতা হতে পারে।

মধুচন্দ্রিমার জন্য কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য নেই এবং দম্পতিরা তাদের পছন্দ এবং বাজেটের উপর ভিত্তি করে তাদের গন্তব্য বেছে নিতে পারে। কিছু জনপ্রিয় মধুচন্দ্রিমা গন্তব্যগুলির মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপ, বালি, গ্রিস, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, এবং ইতালি।

মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার সময় দম্পতিরা বিভিন্ন ধরণের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারে, যেমন:

  • সৈকতলে শিথিল করা
  • দর্শনীয় স্থানগুলি দেখা
  • রোমান্টিক ডিনারে উপভোগ করা
  • স্পা চিকিৎসা গ্রহণ করা
  • সাহসিক কাজে অংশগ্রহণ করা

মধুচন্দ্রিমা হলো দম্পতিদের জন্য একটি বিশেষ সময় এবং এটি তাদের জীবনের একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হতে পারে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও, নব দম্পতির উচিত:

  • একে অপরের প্রতি ধৈর্যশীল হওয়া।
  • একে অপরের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়া।
  • একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ বুঝতে চেষ্টা করা।
  • পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সংসারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।

আরও কিছু তথ্য:

  • কিছু সংস্কৃতিতে বিয়ের পর নব দম্পতিকে কিছু রীতিনীতি পালন করতে হয়।
  • যেমন:
    • বর-কনে একে অপরকে দুধ খাওয়ানো
    • বর-কনে একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ানো
    • বর-কনে একে অপরকে ফুলের মালা পরানো
  • এই রীতিনীতিগুলোর কোন ধর্মীয় ভিত্তি নেই, তবে এগুলো সামাজিক রীতিনীতি হিসেবে পালন করা হয়।

বিয়ের পর নব দম্পতির জন্য কিছু শুভকামনা:

নব দম্পতির জন্য শুভকামনা:

প্রিয় [বরের নাম] ও [কনের নাম],

আপনাদের বিবাহিত জীবনের শুভ সূচনায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আজকের এই বিশেষ দিনটি আপনাদের জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে।

আমি কামনা করি:

  • আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখ, সমৃদ্ধি ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হোক।
  • আপনারা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বজায় রাখুন।
  • জীবনের সকল চ্যালেঞ্জ একসাথে মুখোমুখি হয়ে সাহসের সাথে সমাধান করুন।
  • আপনাদের ভালোবাসার বন্ধন দিন দিন আরও দৃঢ় হোক।
  • আপনারা একটি সুন্দর ও সুখী পরিবার গড়ে তুলুন।

আল্লাহ তা’আলা আপনাদের দুজনকে দীর্ঘ ও সুখী জীবন দান করুন।

আমীন।

[আপনার নাম]

[আপনার সম্পর্ক]

[তারিখ]

[অতিরিক্ত:

  • আপনি নব দম্পতির জন্য কোন বিশেষ বার্তা বা কামনা থাকলে এখানে যোগ করতে পারেন।
  • আপনি তাদের জন্য কোন বিশেষ আয়াত বা দোয়া লিখতে পারেন।
  • আপনি তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের উৎসাহ দিতে পারেন।

আশা করি এই শুভকামনা নব দম্পতির জন্য আনন্দের কারণ হবে।

  • আল্লাহ্ তোমাদের দুজনকে সুখী ও সমৃদ্ধ করুন।
  • তোমাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক।
  • তোমাদের মাঝে ভালোবাসা ও বোঝাপড়া চিরস্থায়ী হোক।
  • তোমরা যেন একে অপরের জন্য সর্বোত্তম সঙ্গী হতে পারো।

আমিন।

বিবাহের দোয়া করার সঠিক নিয়ম

Bangladeshi Matrimony Rajshahi

Bangladeshi Matrimony Rangpur

Bangladeshi Matrimony Sylhet

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন গুলশান মিডিয়ার সাথে। ” কল করুন: 01779940833/ 01572106528

Email : gulshanmedia2@gmail.com

Sonali Islam

 

Advertisement
Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here