তীব্র গরমে কি কি রোগ হতে পারে। রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি ?

0
31
তীব্র গরমে কি কি রোগ হতে পারে। রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি ?
তীব্র গরমে কি কি রোগ হতে পারে। রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি ?
Advertisement
Google search engine
তীব্র গরমে কি কি রোগ হতে পারে। রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি ?
তীব্র গরমে কি কি রোগ হতে পারে। রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি ?

তীব্র গরমে কি কি রোগ হতে পারে। রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি ?

তীব্র গরমে সাবধান! রোগ প্রতিরোধ সুস্থ থাকার টিপস

ভূমিকা:

বাংলাদেশের গ্রীষ্মকাল প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্রতার জন্য পরিচিত। এই সময় তাপমাত্রা ৪০°C ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তীব্র গরমে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে হিট স্ট্রোক, পানিস্বল্পতা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, চর্মরোগ, এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা।

তীব্র গরমে হতে পারে এমন রোগ:

  • হিট স্ট্রোক: তীব্র গরমের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, দ্রুত শ্বাস, দ্রুত পালস, পেশীতে টান, চেতনা হারানো, মৃত্যু।
  • পানিস্বল্পতা: গরমে প্রচুর ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে তরল বেরিয়ে যায়, যার ফলে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে তৃষ্ণার্ত বোধ করা, মুখ শুষ্ক হওয়া, অল্প প্রস্রাব, প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হওয়া, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা।
  • ডায়রিয়া: গরমের সময় খাবার দ্রুত নষ্ট হতে পারে, যার ফলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে এবং ডায়রিয়া হতে পারে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, জ্বর।
  • টাইফয়েড: টাইফয়েড জীবাণু দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, দুর্বলতা, ক্ষুধা হ্রাস, পাতলা পায়খানা।
  • জন্ডিস: জন্ডিস হলো যকৃতের সমস্যার একটি লক্ষণ, যার ফলে ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যায়। এর অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ক্ষুধা হ্রাস, জ্বর।
  • চর্মরোগ: গরমের সময় ঘামের সাথে লবণ বেরিয়ে যায়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক ও চুলকানিযুক্ত হয়ে পড়ে। এছাড়াও, গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে ফুসকুড়ি, র‍্যাশ, অ্যালার্জি ইত্যাদি চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।
  • শ্বাসকষ্টের সমস্যা: গরমের সময় বাতাসে দূষণকারী কণা বৃদ্ধি পেতে পারে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শ্বাসকষ্টের সমস্যা

গরমের দিনে শ্বাসকষ্টের সমস্যা

তীব্র গরমের দিনে শ্বাসকষ্ট একটি সাধারণ সমস্যা। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া আমাদের শরীরকে চাপ দিতে পারে এবং শ্বাস নিতে কঠিন করে তুলতে পারে। এর কারণ হলো গরমে আমাদের শরীর বেশি ঘামে, যার ফলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। পানিশূন্যতা শরীরের তরল ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা শ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী পেশীগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে।

গরমের দিনে শ্বাসকষ্টের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বায়ু দূষণ: গরমের দিনে বায়ু দূষণকারী কণাগুলির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অ্যালার্জি: গরমের দিনে পরাগরেণু, ধুলো এবং ছত্রাকের স্পোরের মতো অ্যালার্জেনগুলিতে সংস্পর্শ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
  • শারীরিক পরিশ্রম: গরমের দিনে শারীরিক পরিশ্রম শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এবং শ্বাস নিতে কঠিন করে তুলতে পারে।
  • কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন বিটা-ব্লকার এবং ডায়ুরেটিক, শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।

গরমের দিনে শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • দ্রুত বা অগভীর শ্বাস
  • বুকে ব্যথা বা চাপ
  • শ্বাস নিতে কষ্ট
  • শ্বাসকষ্ট
  • শ্লেষ্মা উৎপাদন বৃদ্ধি
  • কাশি
  • হাঁপানি
  • মাথা ঘোরা
  • দুর্বলতা

গরমের দিনে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমাতে আপনি যে পদক্ষেপগুলি নিতে পারেন:

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: পানিশূন্যতা রোধ করতে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • ঠান্ডা থাকুন: যতটা সম্ভব ঠান্ডা থাকার চেষ্টা করুন। এয়ার কন্ডিশনড রুমে থাকুন, ঠান্ডা স্নান বা ঝরনা করুন এবং ঠান্ডা পানীয় পান করুন।
  • বাইরে বের হওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন: সকালের দিকে বা বিকেলের দিকে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করুন যখন তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। বাইরে বের হওয়ার সময় হালকা রঙের, সুতির পোশাক পরুন এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • শারীরিক পরিশ্রম সীমিত করুন: গরমের দিনে তীব্র শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন। যদি আপনাকে অবশ্যই বাইরে কাজ করতে হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে বিরতি নিন এবং ছায়ায় থাকুন।

 

  • গরমের দিনে শ্বাসকষ্টের সমস্যা

  • তীব্র গরমের দিনে শ্বাসকষ্ট একটি সাধারণ সমস্যা। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া আমাদের শরীরকে চাপ দিতে পারে এবং শ্বাস নিতে কঠিন করে তুলতে পারে। এর কারণ হলো গরমে আমাদের শরীর বেশি ঘামে, যার ফলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। পানিশূন্যতা শরীরের তরল ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা শ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী পেশীগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • গরমের দিনে শ্বাসকষ্টের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • বায়ু দূষণ: গরমের দিনে বায়ু দূষণকারী কণাগুলির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অ্যালার্জি: গরমের দিনে পরাগরেণু, ধুলো এবং ছত্রাকের স্পোরের মতো অ্যালার্জেনগুলিতে সংস্পর্শ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
  • শারীরিক পরিশ্রম: গরমের দিনে শারীরিক পরিশ্রম শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এবং শ্বাস নিতে কঠিন করে তুলতে পারে।
  • কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন বিটা-ব্লকার এবং ডায়ুরেটিক, শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
  • গরমের দিনে শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • দ্রুত বা অগভীর শ্বাস
  • বুকে ব্যথা বা চাপ
  • শ্বাস নিতে কষ্ট
  • শ্বাসকষ্ট
  • শ্লেষ্মা উৎপাদন বৃদ্ধি
  • কাশি
  • হাঁপানি
  • মাথা ঘোরা
  • দুর্বলতা
  • গরমের দিনে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমাতে আপনি যে পদক্ষেপগুলি নিতে পারেন:

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: পানিশূন্যতা রোধ করতে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • ঠান্ডা থাকুন: যতটা সম্ভব ঠান্ডা থাকার চেষ্টা করুন। এয়ার কন্ডিশনড রুমে থাকুন, ঠান্ডা স্নান বা ঝরনা করুন এবং ঠান্ডা পানীয় পান করুন।
  • বাইরে বের হওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন: সকালের দিকে বা বিকেলের দিকে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করুন যখন তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। বাইরে বের হওয়ার সময় হালকা রঙের, সুতির পোশাক পরুন এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • শারীরিক পরিশ্রম সীমিত করুন: গরমের দিনে তীব্র শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন। যদি আপনাকে অবশ্যই বাইরে কাজ করতে হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে বিরতি নিন এবং ছায়ায় থাকুন।

রোগ প্রতিরোধে করণীয় :

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন :
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন : গরমের দিনে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি

ভূমিকা:

গরমের দিনে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বেরিয়ে যায়, যার ফলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।

কতটা পানি পান করা উচিত ?

একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য প্রতিদিন গড়ে ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে, গরমের দিনে ঘামের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাই এই সময় আরও বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। আপনার পানি পান করার পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার বয়স, শারীরিক অবস্থা, কার্যক্রমের ধরন এবং আবহাওয়ার উপর।

কখন পানি পান করা উচিত?

  • ঘুম থেকে ওঠার পর
  • খাওয়ার আগে ও পরে
  • ব্যায়াম করার আগে, সময়কালে এবং পরে
  • প্রচুর ঘাম হলে
  • মুখ শুষ্ক অনুভূত হলে
  • প্রস্রাবের রঙ ঘন হলে

পানি পান করার কিছু টিপস :

  • সারাদিন ধরে নিয়মিত পানি পান করুন। তৃষ্ণার্ত বোধ করার অপেক্ষা করবেন না।
  • ঠান্ডা বা ঈষদুষ্ণ পানি পান করা ভালো।
  • ফলের রস, শরবত, স্যুপ ইত্যাদি পানি সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • বাইরে বের হলে সাথে করে পানি রাখুন।
  • পানি পান করার জন্য একটি রিমাইন্ডার সেট করুন।

পানি পানের সুফল :

  • পানিশূন্যতা রোধ করে
  • শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
  • হজমশক্তি উন্নত করে
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • ক্লান্তি দূর করে
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে
  • মেজাজ ভালো রাখে

উপসংহার:

গরমের দিনে সুস্থ থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি শুধুমাত্র পানিশূন্যতা রোধ করে না, বরং আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। তাই এই গ্রীষ্মে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে সুস্থ ও তরতাজা থাকুন।

মনে রাখবেন:

  • যদি আপনার পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন তৃষ্ণার্ত বোধ করা, মুখ শুষ্ক হওয়া, অল্প প্রস্রাব, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত পানি পান করাও ক্ষতিকর হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি ?

তীব্র গরমে রোগ প্রতিরোধে করণীয়:

পানিশূন্যতা রোধ:

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • ঠান্ডা বা ঈষদুষ্ণ পানি, ফলের রস, শরবত, স্যুপ ইত্যাদি পান করুন।
  • বাইরে বের হলে সাথে করে পানি রাখুন।
  • পানি পান করার জন্য একটি রিমাইন্ডার সেট করুন।

খাদ্যাভ্যাস:

  • হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান।
  • তাজা ফল, শাকসবজি ও দই বেশি খান।
  • মশলাযুক্ত ও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • প্রচুর পরিমাণে লবণ ও তরল পান করুন।
  • ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন।

পোশাক:

  • হালকা রঙের, সুতির পোশাক পরুন।
  • মাথায় টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন।
  • রোদে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

ঘুম বিশ্রাম:

  • পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
  • দিনের বেলায় গরমের তীব্রতা কম থাকলে কাজ করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • ধ্যান বা যোগব্যায়াম করুন।

অন্যান্য:

  • ঘর পরিষ্কার ও রোদ ঢোকার ব্যবস্থা রাখুন।
  • বাড়িতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
  • বাইরে বের হওয়ার সময় ভিড় এড়িয়ে চলুন।
  • অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গর্ভবতী স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য:

  • নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান।
  • পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
  • গরমের তীব্রতা এড়িয়ে চলুন।

শিশুদের জন্য:

  • শিশুদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করান।
  • হালকা রঙের, সুতির পোশাক পরান।
  • মাথায় টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন।
  • রোদে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • শিশুদের নিয়মিত স্নান করান।
  • শিশুদের অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন:

  • গরমের দিনে সতর্ক থাকা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • যদি আপনার অসুস্থতার কোন লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এই টিপসগুলি গ্রহণ করে আপনি তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে পারবেন এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।

তীব্র গরমে রোগ প্রতিরোধ সুস্থ থাকার টিপস:

ভূমিকা:

বাংলাদেশের তীব্র গ্রীষ্মকাল প্রচুর গরম ও আর্দ্রতার জন্য পরিচিত। এই সময় তাপমাত্রা ৪০°C ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তীব্র গরমে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে হিট স্ট্রোক, পানিস্বল্পতা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, চর্মরোগ, এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা।

রোগ প্রতিরোধ সুস্থ থাকার জন্য:

পানিশূন্যতা রোধ:

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, বিশেষ করে দিনের বেলায়।
  • ঠান্ডা বা ঈষদুষ্ণ পানি, ফলের রস, শরবত, স্যুপ ইত্যাদি পান করুন।
  • বাইরে বের হলে সাথে করে পানি রাখুন।
  • পানি পান করার জন্য একটি রিমাইন্ডার সেট করুন।

খাদ্যাভ্যাস:

  • হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান।
  • তাজা ফল, শাকসবজি ও দই বেশি খান।
  • মশলাযুক্ত ও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • প্রচুর পরিমাণে লবণ ও তরল পান করুন।
  • ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন।

পোশাক:

  • হালকা রঙের, সুতির পোশাক পরুন।
  • মাথায় টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন।
  • রোদে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

ঘুম বিশ্রাম:

  • পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
  • দিনের বেলায় গরমের তীব্রতা কম থাকলে কাজ করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • ধ্যান বা যোগব্যায়াম করুন।

অন্যান্য:

  • ঘর পরিষ্কার ও রোদ ঢোকার ব্যবস্থা রাখুন।
  • বাড়িতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
  • বাইরে বের হওয়ার সময় ভিড় এড়িয়ে চলুন।
  • অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গর্ভবতী স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য:

  • নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান।
  • পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
  • গরমের তীব্রতা এড়িয়ে চলুন।

শিশুদের জন্য:

  • শিশুদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করান।
  • হালকা রঙের, সুতির পোশাক পরান।
  • মাথায় টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন।
  • রোদে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • শিশুদের নিয়মিত স্নান করান।
  • শিশুদের অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন:

  • গরমের দিনে সতর্ক থাকা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

Bangladeshi Hindu Bride Groom

Bangladeshi marriage LAW

Bangladeshi Matrimonial Site

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন গুলশান মিডিয়ার সাথে। ” কল করুন: 01779940833/ 01815152927

Email : gulshanmedia2@gmail.com
Sonali Islam

 

Advertisement
Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here