ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত

0
74
ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত
ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত
Advertisement
Google search engine
ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত
ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত

ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত :

বিয়ের শর্ত:

১) বর-কনে উভয়ের সম্মতি: বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য বর ও কনে উভয়ের পূর্ণ সম্মতি থাকা আবশ্যক। কারো জোর-জবরদস্তি করে বিয়ে দেওয়া বা বিয়ে করা যাবে না।

২) অভিভাবকের সম্মতি: কনে যদি প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হয়, তবুও তার বিয়ের জন্য বৈধ অভিভাবকের সম্মতি প্রয়োজন।

৩) মেহর: মেহর হলো বরের পক্ষ থেকে কনের জন্য নির্ধারিত একটা উপহার, যা বিয়ের সময় অথবা পরবর্তীতে প্রদান করা হয়। মেহরের পরিমাণ নির্ধারণে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবে তা ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক হওয়া উচিত।

৪) সাক্ষী: বিয়ের সময় কমপক্ষে দু’জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত থাকা আবশ্যক।

৫) ইজাব ও কবুল: ইজাব হলো বর অথবা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া এবং কবুল হলো কনে অথবা তার অভিভাবকের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা। ইজাব ও কবুল স্পষ্ট ও সাবলীলভাবে উচ্চারিত হতে হবে।

৬) বিয়ের অনুষ্ঠান: বিয়ের অনুষ্ঠান সরল ও আনন্দময় হওয়া উচিত। অপ্রয়োজনীয় খরচ ও অপচয় করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

৭) বিয়ের পর: বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা ও সহযোগিতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিয়ের নিষেধাজ্ঞা:

  • একই ধর্মের অন্তর্গত না হলে বিয়ে করা যাবে না।

“একই ধর্মের অন্তর্গত না হলে বিয়ে করা যাবে না” – এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। বাংলাদেশের আইন অনুসারে, ধর্ম নির্বিশেষে যেকোনো দু’জন ব্যক্তি বৈধভাবে বিয়ে করতে পারেন।

বিশেষ বিবাহ আইন, ১৯৫৪ অনুসারে, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান, পারসী, ইহুদি, অথবা অন্য যেকোনো ধর্মের অনুসারী ব্যক্তি এই আইনের অধীনে বিয়ে করতে পারবেন।

অন্তঃ-ধর্মীয় বিয়ে এই আইনের অধীনে সম্পাদিত হয়।

কিছু বিষয় মনে রাখা:

  • বর ও কনের বয়স যথাক্রমে ২১ ও ১৮ বছর হতে হবে।
  • উভয় পক্ষের পূর্ণ সম্মতি থাকতে হবে।
  • বর ও কনের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক থাকতে পারবে না।
  • নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে নিবন্ধকের কাছে আবেদন করতে হবে।
  • নির্ধারিত তারিখে নিবন্ধকের কার্যালয়ে বর ও কনেকে উপস্থিত থাকতে হবে।
  • নিবন্ধক ও সাক্ষীদের সামনে বর ও কনেকে বিবাহের শপথ গ্রহণ করতে হবে।
  • নিবন্ধক বিবাহের সনদপত্র প্রদান করবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

  • কিছু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব বিবাহ আইন রয়েছে। ঐসব সম্প্রদায়ের অনুসারীরা তাদের নিজস্ব আইন অনুসারে বিয়ে করতে পারেন।
  • আইন অনুসারে, ধর্ম পরিবর্তনের মাধ্যমে বিয়ে বৈধতা লাভের সুযোগ নেই।

উপসংহার:

“একই ধর্মের অন্তর্গত না হলে বিয়ে করা যাবে না” – এই ধারণাটি আইনত ভুল। বাংলাদেশের আইন অনুসারে, ধর্ম নির্বিশেষে যেকোনো দু’জন ব্যক্তি বৈধভাবে বিয়ে করতে পারেন।

রক্ত সম্পর্কের কারণে নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে বিয়ে করা যাবে না।

  • স্ত্রীর বোনকে স্ত্রী থাকাকালীন বিয়ে করা যাবে না।
  • একসাথে চারজনের বেশি স্ত্রী বিয়ে করা যাবে না।
  • কাফির নারীকে বিয়ে করা যাবে না।
  • যার স্বামী জীবিত আছে তাকে বিয়ে করা যাবে না।
  • তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ‘ইদ্দত’ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অন্যত্র বিয়ে করা যাবে না।

বিয়ের ফজিলত:

  • বিয়ে হলো অর্ধেক ঈমান।

হ্যাঁ, “বিয়ে হলো অর্ধেক ঈমান” – এই উক্তিটি ইসলাম ধর্মে প্রচলিত।

উক্তিটির উৎস:

এই উক্তিটি হাদিস থেকে এসেছে। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি বিয়ে করল সে তার অর্ধেক ঈমান পূর্ণ করে ফেলল। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।” (বায়হাকি, শুআবুল ইমান)

উক্তিটির ব্যাখ্যা:

  • ঈমানের পূর্ণতা: বিয়ে করার মাধ্যমে একজন মানুষ তার ঈমানের অর্ধেক অংশ পূর্ণ করে।
  • পাপ কমে: বিয়ে একজন মানুষকে অনেক পাপ থেকে বিরত রাখে।
  • জৈবিক চাহিদা পূরণ: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ তার জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে পারে।
  • পরিবার গঠন: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ সুন্দর পরিবার গঠন করতে পারে।
  • সামাজিক স্থিতিশীলতা: বিয়ের মাধ্যমে সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

উল্লেখ্য:

  • বিয়ে ঈমানের পূর্ণতা লাভের একমাত্র উপায় নয়।
  • বিয়ে করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা ও সহযোগিতা বজায় রাখা।
  • বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সকল দিক বিবেচনা করে সচেতনতার সাথে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

“বিয়ে হলো অর্ধেক ঈমান” – এই উক্তিটির মাধ্যমে বিয়ের গুরুত্ব ও ফজিলত তুলে ধরা হয়েছে। বিয়ে একজন মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিয়ে পাপ কমাতে সাহায্য করে।

হ্যাঁ, বিয়ে পাপ কমাতে সাহায্য করে। বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ অনেক পাপ থেকে বিরত থাকতে পারে।

কিভাবে বিয়ে পাপ কমাতে সাহায্য করে:

  • জৈবিক চাহিদা পূরণ: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ তার জৈবিক চাহিদা হালাল উপায়ে পূরণ করতে পারে।
  • অবৈধ সম্পর্ক থেকে বিরত থাকে: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ পরকায়াগমনের মতো অবৈধ সম্পর্ক থেকে বিরত থাকে।
  • নজর নিচু রাখা: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ অন্যের প্রতি অবৈধ আকর্ষণ থেকে বিরত থাকে এবং নজর নিচু রাখতে পারে।
  • মানসিক প্রশান্তি: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ মানসিক প্রশান্তি লাভ করে।
  • পরিবার গঠন: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ সুন্দর পরিবার গঠন করতে পারে।
  • সামাজিক স্থিতিশীলতা: বিয়ের মাধ্যমে সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

উল্লেখ্য:

  • বিয়ে ঈমানের পূর্ণতা লাভের একমাত্র উপায় নয়।
  • বিয়ে করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা ও সহযোগিতা বজায় রাখা।
  • বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সকল দিক বিবেচনা করে সচেতনতার সাথে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

উপসংহার:

বিয়ে একজন মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ অনেক পাপ থেকে বিরত থাকতে পারে এবং ঈমানের পূর্ণতা লাভের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

বিয়ে সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে উম্মত বৃদ্ধির কারণ

হ্যাঁ, বিয়ে সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে উম্মত বৃদ্ধির কারণ।

কিভাবে বিয়ে উম্মত বৃদ্ধির কারণ:

  • সন্তান জন্মদান: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ সন্তান জন্ম দিতে পারে।
  • সন্তানের লালন-পালন: বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী তাদের সন্তানের সুষ্ঠু লালন-পালন করতে পারে।
  • ইসলামী শিক্ষা: বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী তাদের সন্তানদের ইসলামী শিক্ষা দিতে পারে।
  • সুন্দর চরিত্র গঠন: বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী তাদের সন্তানদের সুন্দর চরিত্র গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
  • উম্মতের শক্তি বৃদ্ধি: বিয়ের মাধ্যমে উম্মতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং উম্মতের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

উল্লেখ্য:

  • বিয়ে করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা ও সহযোগিতা বজায় রাখা।
  • বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সকল দিক বিবেচনা করে সচেতনতার সাথে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
  • সন্তানের লালন-পালনের জন্য আর্থিক ও সামাজিকভাবে প্রস্তুত থাকা উচিত।

উপসংহার:

বিয়ে একজন মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ সন্তান জন্ম দিতে পারে এবং উম্মতের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

বিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে।

বিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে কীভাবে?

পারিবারিক স্থিতিশীলতা:

  • সন্তানদের জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ: বিয়ে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে যা সন্তানদের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা: দুইজন ব্যক্তি একসাথে থাকলে তাদের আর্থিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী হয়।
  • মানসিক স্থিতিশীলতা: সঙ্গীর সাহায্য ও সহায়তা মানসিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
  • সামাজিক স্বীকৃতি: বিয়ে সমাজের দৃষ্টিতে একজন ব্যক্তির পরিপূর্ণতা ও স্থিতিশীলতা প্রদান করে।

সামাজিক স্থিতিশীলতা:

  • সামাজিক নিয়ন্ত্রণ: বিয়ে সমাজের নিয়ম-কানুন মেনে চলার জন্য উৎসাহিত করে।
  • সামাজিক বন্ধন: বিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
  • সামাজিক নীতিশাস্ত্র: বিয়ে সমাজের নীতিশাস্ত্র ও মূল্যবোধ টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • সামাজিক কাঠামো: বিয়ে সমাজের কাঠামোকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

বিয়ের ফলে স্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ার কিছু কারণ:

  • দায়িত্ববোধ: বিয়ের পর মানুষ তাদের পরিবার ও সঙ্গীর প্রতি দায়িত্ববোধশীল হয়।
  • সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়িত্ব: বিয়ের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
  • আইনি স্বীকৃতি: বিয়ে আইনি স্বীকৃতি প্রদান করে যা পারিবারিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে আরও দৃঢ় করে।

তবে, বিয়ে সবসময় স্থিতিশীলতা প্রদান করে না:

  • অসুখী দাম্পত্য জীবন: অসুখী দাম্পত্য জীবন পারিবারিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে।
  • তালাক: তালাক পারিবারিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতার অন্যতম কারণ।
  • পারিবারিক সমস্যা: পারিবারিক সমস্যা স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে।

পরিশেষে বলা যায়, বিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, স্থিতিশীলতা টিকিয়ে রাখার জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও দায়িত্ববোধের প্রয়োজন।

ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত

উল্লেখ্য:

কিভাবে বিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে

বিয়ে কিভাবে পারিবারিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে:

পারিবারিক স্থিতিশীলতা:

  • পরিবার গঠন: বিয়ে একটি পরিবার গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে। একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে আনুষ্ঠানিক বন্ধন তৈরি করে, যা তাদের সন্তান ধারণ ও লালন-পালনের জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে।
  • মানসিক স্থিতিশীলতা: বিয়ে সঙ্গীদের মানসিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে। সঙ্গীর সাহচর্য, ভালোবাসা এবং সমর্থন একজন ব্যক্তির মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং তাদের জীবনে একাকীত্বের অনুভূতি দূর করে।
  • অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা: বিয়ে দুজন ব্যক্তির আর্থিক সম্পদ একত্রিত করে, যা তাদের পরিবারের জন্য बेहतर জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
  • সামাজিক মর্যাদা: বিয়ে সমাজে একজন ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে। বিবাহিত ব্যক্তিদের সাধারণত অবিবাহিতদের তুলনায় সমাজে বেশি দায়িত্বশীল এবং স্থিতিশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সামাজিক স্থিতিশীলতা:

  • সামাজিক নিয়ম-কানুন: বিয়ে সমাজের নিয়ম-কানুন বজায় রাখতে সাহায্য করে। সমাজের নীতিমালা অনুসারে বিয়ে করা হয়, যা সমাজের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • সামাজিক সম্পর্ক: বিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। বিবাহের মাধ্যমে নতুন নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়, যা সমাজের ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে।
  • সামাজিক মূল্যবোধ: বিয়ে সমাজের মূল্যবোধ ধারণ করে। বিয়ে সমাজের প্রথাগত রীতিনীতি ও মূল্যবোধ ধারণ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তা হস্তান্তর করে।
  • সামাজিক নিরাপত্তা: বিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করে। বিবাহিত ব্যক্তিরা বিধবা, বিধুর বা অনাথ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

উল্লেখ্য যে, বিয়ের স্থিতিশীলতা প্রদানের ক্ষমতা নির্ভর করে বিয়ের ধরণ, সঙ্গীদের মধ্যে সম্পর্ক, এবং পরিবার ও সমাজের সমর্থনের উপর।

বিয়ের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য:

  • সঙ্গীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া থাকা জরুরি।
  • পারিবারিক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।
  • সমাজের নিয়ম-কানুন ও রীতিনীতি মেনে চলা উচিত।

পরিশেষে বলা যায়, বিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পারিবারিক স্থিতিশীলতা:

  • সুন্দর পরিবার: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ সুন্দর পরিবার গঠন করতে পারে।
  • মানসিক প্রশান্তি: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ মানসিক প্রশান্তি লাভ করে।
  • ভালোবাসা ও সহযোগিতা: বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহযোগিতা বজায় থাকে।
  • সন্তানের লালন-পালন: বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী তাদের সন্তানের সুষ্ঠু লালন-পালন করতে পারে।
  • সামাজিক মর্যাদা: বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ সমাজে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করে।

সামাজিক স্থিতিশীলতা:

  • অবৈধ সম্পর্ক: বিয়ের মাধ্যমে সমাজে অবৈধ সম্পর্কের হার কমে।
  • অপরাধ: বিয়ের মাধ্যমে সমাজে অপরাধের হার কমে।
  • সামাজিক নিয়ন্ত্রণ: বিয়ের মাধ্যমে সমাজে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে।
  • সামাজিক ঐক্য: বিয়ের মাধ্যমে সমাজে ঐক্য ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধি: বিয়ের মাধ্যমে সমাজে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

উল্লেখ্য:

  • বিয়ে করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা ও সহযোগিতা বজায় রাখা।
  • বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সকল দিক বিবেচনা করে সচেতনতার সাথে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

উপসংহার:

বিয়ে একজন মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ সুন্দর পরিবার গঠন করতে পারে এবং পারিবারিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা প্রদান করতে পারে।

উপরে বর্ণিত নিয়ম ও বিধানগুলো হলো সংক্ষিপ্তসার। বিস্তারিত জানার জন্য ইসলামী ফিকহের বই অথবা আলেম-উলামাদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত

বিভিন্ন মাজহাবের মধ্যে বিয়ের নিয়ম-কানুনে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে।

আশা করি, এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

matrimonial com

bangladeshi matrimonial site

matrimonial.com bd

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন গুলশান মিডিয়ার সাথে। ” কল করুন: 01779940833/ 01572106528

Email : gulshanmedia2@gmail.com

Sonali Islam

 

Advertisement
Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here